শেকৃবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত


, আপডেট করা হয়েছে : 20-01-2025

শেকৃবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ভর্তি পদ্ধতিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ভর্তি পদ্ধতিতে বিদ্যমান থাকা ৩ শতাংশ পোষ্য কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া সামগ্রিক ১১ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে।


রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়টির ৮৩ তম একাডেমিক কাউন্সিলর সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সংশোধিত কোটা ব্যবস্থায় পোষ্য কোটা বাতিলসহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটা তিন শতাংশ, প্রতিবন্ধী কোটা এক শতাংশ, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী এবং উপজাতি কোটা এক শতাংশ রাখা হয়েছে। তবে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে সেই আসন পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পোষ্য কোটা বাতিলসহ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেকৃবি শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, 'সময়োপযোগী এবং শিক্ষার্থীবান্ধব একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বৈষম্য দূরীকরণে এত জীবন বিসর্জনের পরে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটার বৈষম্যমূলক অসামঞ্জস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতিতে থাকবে না সেটাই প্রত্যাশিত ছিল। আমরা শেকৃবি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।'


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা থেকেই কার্যকর হবে সংশোধিত এই কোটা পদ্ধতি। কিছু অংশের অনিচ্ছা থাকলেও দেশের এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বৈষম্য দূরীকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধিকাংশ স্টেক হোল্ডারের সম্মতিতে আমরা এই পরিবর্তন নিয়ে এসেছি।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার