দাওয়াত ও তাবলিগ ধর্মের প্রাণ


, আপডেট করা হয়েছে : 25-01-2025

দাওয়াত ও তাবলিগ ধর্মের প্রাণ

দাওয়াত দিয়ো বালিগাহ ধর্মের প্রাচ্ছে না ওয়াদের নিজের রবের পথে দাওয়াত দিন প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে। আর প্রয়োজনে ওদের সঙ্গে উত্তম পন্থায় দলিলভিত্তিক বাহাস করুন' (সুরা নাহল, আয়াত: ১২৫)।' অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'হে রসুল, আপনি পৌঁছে দিন, যা আপনার কাছে আপনার রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৬৭)।'


দাওয়াত ও তাবলিগ হলো দিনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগানোর মাধ্যম। যারা এলমের মেহনত করছেন, তাদের কাছে এসে ধর্মের শিক্ষা নিয়ে তবেই তাবলিগের মাঠে নামতে হবে। এজন্যই তাবলিগের মেহনত শুরু করার আগে হজরতজি ইলিয়াস (রহ.) দীর্ঘ সময় রশিদ আহমদ গাঙ্গোহী, আশরাফ আলি থানবি, শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা খলিল আহমদ সাহরানপুরীর মতো যুগশ্রেষ্ঠ আলেমদের সহবতে থেকেছেন।


হজরতজি ইলিয়াস ইলিয়াস কান্ধলভি ছিলেন ভারতবর্ষের একজন প্রতিথযশা আলেম। তিনি ১৮৮৫ সালে ভারতের কান্ধলায় জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালেই তিনি কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর রশীদ আহমদ গাঙ্গোহীর (রহ.) সান্নিধ্যে থেকে ইলমে শরিয়ত ও তরিকতের উচ্চ মাকাম অর্জন করেন। ১৯০৮ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসানের (রহ.) কাছে বুখারি ও তিরমিজির দরস নেন। এরপর মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরীর কাছে বায়াত নেন। এর দুই বছর পর তিনি মাজাহিরু উলুম সাহারানপুরে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। 


এর কিছু দিন পর তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিনের বাংলাওয়ালি মসজিদে তাবলিগের মেহনত শুরু করেন। বিংশ শতাব্দীর এই মহান দায়ি, মুবাল্লিগ ও আলেম দাওয়াত ও তাবলিগের ময়দানে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন। সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি নীতি ও আদর্শের মহিমা ফিরিয়ে আনতে ১৯২০ সালে তিনি তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন। ব্যক্তিজীবনের কাজ-কর্ম, অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্য, অন্য সবকিছু ঠিক রেখে কুরআন-সুন্নাহ মেনে চলা যে কষ্টসাধ্য বিষয় নয়-তা হাতে কলমে শেখানোই তাবলিগ জামাতের মূল উদ্দেশ্য।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার