মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের জন্য তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল
বৈঠকটি আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার হওয়ার কথা, যা ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথম কোনো বিদেশি নেতাকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা।
তবে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, চূড়ান্ত তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আমন্ত্রণপত্রে ট্রাম্প লিখেছেন, আমি ইসরাইল ও তার প্রতিবেশীদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আমাদের যৌথ শত্রুদের মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করতে উন্মুখ।
বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে থাকবে আংশিক বাস্তবায়িত গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি, যা ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়। চুক্তিটি বাস্তবায়নে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভেন উইটকফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, যিনি নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার আগেই আলোচনায় যোগ দেন।
ট্রাম্প গাজা যুদ্ধবিরতির তিন ধাপের চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে আগ্রহী, তবে নেতানিয়াহু চরম ডানপন্থি জোটসঙ্গীদের চাপের মুখে রয়েছেন, যারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলছে।
৪২ দিনের প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর যুদ্ধ পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার দাবিতে ওতজমা ইয়েহুদিত দল ইতোমধ্যে সরকার ছেড়েছে, আর মিত্র রিলিজিয়াস জায়োনিজম দলও হুমকি দিয়েছে যে যুদ্ধ বন্ধ থাকলে তারাও সরকার থেকে বেরিয়ে আসবে।
চ্যানেল ১৩ নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ওয়াশিংটন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাজি করানোর জন্য কিছু প্রণোদনা প্রস্তুত রেখেছে।
এর মধ্যে অন্যতম হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আইন পাস করা, যাতে আদালত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে। তবে মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাটরা বিলটি আটকে দিয়েছে।