কোন মন্ত্রে বদলে গেলেন নাঈম, জানালেন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে


, আপডেট করা হয়েছে : 31-01-2025

কোন মন্ত্রে বদলে গেলেন নাঈম, জানালেন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে

ধারাবাহিক না হওয়ার কারণেই জাতীয় দলের দরজাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নাঈম শেখের। এখন সেই বন্ধ দরজাটাতেই নক করে যাচ্ছেন। যেই গতিতে এগোচ্ছেন তিনি। তাতে খুব শিগগিরই যে সুখবরটাও মিলবে সেটাও একরকম অনুমেয়। এ অবস্থায় তার কাছে প্রশ্ন ছিল কোন মন্ত্রে বদলে গেলেন তিনি। বিপিএলে সবশেষ ম্যাচেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সেই বদলে যাওয়ার গল্পটাই শোনালেন নাঈম।


জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান এসেছিল নাঈমের ব্যাট থেকে। ১০ ম্যাচে করেছিলেন ৩১৬ রান। সেই ফর্মটাকেই এবার বিপিএলে টেনে আনলেন তিনি। এবারের বিপিএলে এখন অবধি ১১ ম্যাচ খেলে ৪৪৪ রান এসেছে নাঈমের ব্যাট থেকে। সবশেষ ম্যাচে তো অপরাজিত ১১১ রানের একটা ইনিংসও আছে, টি-টোয়েন্টিতে যা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।


এভাবে বদলে যাওয়ার রহস্য কী? যার উত্তরে নাঈম বলেন, ‘সর্বশেষ যতগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছি নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। মাঠে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। ভেঙে বলতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। অফ সিজনে কাজ করেছি।’


নাঈম আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে কোনো প্রত্যাশা ছিল না। বেসিক ঠিক রেখে প্রসেস মেনে চলতে চাই। কোনো প্রত্যাশা রেখে শুরু করিনি। কোনো লক্ষ্য নেই, উন্নতি করতে পারছি কি না… নিজের সঙ্গে নিজের চ্যালেঞ্জ। উন্নতি করতে চেয়েছি, হয়েছে কি না। এনসিএলেও কোনো লক্ষ্য ছিল না যেমন সর্বোচ্চ রানের মালিক হতে হবে বা ভালো করতে হবে। এমন কোনো ভাবনা ছিল না। নিজের সঙ্গে নিজের চ্যালেঞ্জ যত বেশি বড় করা যায়।’ 


রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনার সবশেষ জয়ের ম্যাচে ৬২ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার অমন ইনিংসেই টুর্নামেন্টে এখনও টিকে আছে খুলনা। লম্বা ইনিংসের জন্য আলাদা কী করেছেন তিনি।


তিনি বলেন, ‘মানসিকতায় পরিবর্তন অবশ্যই জরুরি। এটা না এলে লম্বা ইনিংস খেলা খুব কঠিন ওপেনার হিসেবে। আগে অফ স্পিনে অনেক সংগ্রাম করছিলাম। ঐ জায়গা থেকে বের হয়ে আসছি- কীভাবে ডট না করে স্ট্রাইক রোটেট করা যায়। আর রেঞ্জ হিটিং।’


বদলে যাওয়ার পেছনে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের পরামর্শের কথাও বলেন নাঈম, ‘তিন বছর আগে মুশফিক ভাই বলেছিল, রিভার্স সুইপ নিয়ে কাজ করা গেলে আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে। এখন অফ স্পিনে সুইপ-রিভার্স সুইপ অনেক সহজ হয়েছে। স্লগ সুইপে আগে ভালো ছিলাম, মাঝখানে সংগ্রাম করছিলাম। বলতে গেলে লম্বা হয়ে যাবে। অবশ্যই কিছু জিনিস পরিবর্তন এনেছি তাই সাফল্য আসছে।’



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার