রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাসহ তিন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নগরের মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
হুমকি পাওয়া নেতারা হলেন, সদ্য ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈন উদ্দীন ও যুগ্ম সদস্যসচিব হুমায়ুন কবির (জীম)। তারা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী। এ ছাড়া জামিউল ইসলাম নামের রুয়েটের আরেক শিক্ষার্থীকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি ‘জুলাই আন্দোলনে’ সক্রিয় ছিলেন।
এ ধরনের হুমকি আসার পর রুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় জিডিটি দায়ের করেন। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী মহানগরের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন।
কমিটি হওয়ার পর ‘কারেন্ট স্টুডেন্টস অব রুয়েট’ ফেসবুক গ্রুপে আজাদ আরিফিন নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে হুমকি দিয়ে লেখা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা মাঈন আর জীম। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর পাঁয়তারা চলছে। রুয়েটে আর কত বছর থাকবি। এদের একাডেমিক ডিটেইল দে সবাই। এদের একাডেমিক বহিষ্কার করা সময়ের দাবি। অবশ্য এদের ৩-৪ বছর এক্সট্রা থাকার প্ল্যান থাকবে নিশ্চিত।’
এই পোস্টের কমেন্টে জামিউল ইসলামকে মেনশন করে আজাদ আরিফিন লেখেন, ‘তোদের সবার মৃত্যুদণ্ড হবে। সময় থাকতে কেটে পর।’
মাঈন উদ্দীন বলেন, আজাদ আরিফিন নামের ফেসবুক আইডিটি ফেক (ভুয়া) বলে মনে হচ্ছে। এ ধরনের হুমকি ছাত্রলীগ থেকে দিতে পারে। তবে কমিটি হওয়ার পর এমন হুমকি পাওয়ায় আরও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় তারা আতঙ্কে আছেন। এ কারণে থানায় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই আইডির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনায় তারা রুয়েটের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
নগরের মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক বলেন, জিডিটি আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।