পারস্য উপসাগরে ইরানের মিসাইল পরীক্ষা, শত্রু জাহাজের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ


, আপডেট করা হয়েছে : 02-02-2025

পারস্য উপসাগরে ইরানের মিসাইল পরীক্ষা, শত্রু জাহাজের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

১,০০০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) রেঞ্জের একটি অ্যান্টি-ওয়ারশিপ ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করেছে ইরান, যা পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগরে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই তথ্য জানিয়েছে।  


রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।


ইরানের বিপ্লবী গার্ড নৌবাহিনীর প্রধান জেনারেল আলি রেজা তাংসিরি বলেছেন, এটি একটি গাদর-৩৮০ মাইল টাইপ এল মিসাইল।  এর রেঞ্জ ১,০০০ কিলোমিটারের বেশি এবং এটি অ্যান্টি-জ্যামিং ক্ষমতা সম্পন্ন।


তিনি ইরানের দক্ষিণ উপকূলের একটি ভূগর্ভস্থ মিসাইল সুবিধার কথা উল্লেখ করেন। তবে এই রিপোর্টে মিসাইলটির ওয়ারহেড বা পরীক্ষার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।  


তাংসিরি আরও বলেন, ‘এই সুবিধাটি বিপ্লবী গার্ডের মিসাইল সিস্টেমের মাত্র একটি অংশ এবং এই মিসাইলগুলো শত্রু জাহাজগুলোর জন্য নরক তৈরি করতে সক্ষম’।  


রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই নতুন অস্ত্রটি একটি অত্যাধুনিক মিসাইল, যা ভূগর্ভস্থ সুবিধা থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। মিসাইলটি মধ্য ইরান থেকে ওমান সাগরে পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও দাবি করা হয়েছে, মাত্র একজন কর্মী পাঁচ মিনিটের মধ্যে মিসাইলটি প্রস্তুত করে উৎক্ষেপণ করতে পারে।  


২০১১ সাল থেকে ইরান মাঝে মাঝেই ভূগর্ভস্থ মিসাইল সুবিধা চালু করার পাশাপাশি মিসাইল পরীক্ষার ঘোষণা দিয়ে আসছে। দেশটির দক্ষিণ উপকূল ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীর কাছে এ ধরনের সুবিধা থাকার কথা তারা দাবি করে।  


ইরান দাবি করেছে যে তাদের কাছে ২,০০০ কিলোমিটার (১,২০০ মাইল) রেঞ্জের মিসাইল রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল, বিশেষ করে ইসরাইলকে লক্ষ্য করতে সক্ষম।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার