অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নানা চেষ্টা করে থাকেন মানুষ। অনেকেই আছেন, নিজের ওজন কমানোর জন্য লাখ টাকা খরচ করেও তেমন উপকার পাচ্ছেন না। তবে প্রোটিনে ভরপুর কিছু ফল খাদ্যতালিকায় রেখে ওজন কমানো যেতে পারে।
প্রোটিন এমন একটি অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা দীর্ঘ সময় মানুষের পেট ভরিয়ে রাখতে পারে। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার চাহিদা কমে এবং ওজন কমে। মানবদেহের গঠন উপাদান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রোটিন।
ওজন কমানোর পাশাপাশি প্রোটিন পেশীর ভর বৃদ্ধি করে, হাড় শক্তিশালি করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, বাদাম, ছানা, মসুর ডাল, কুইনোয়া এবং দুগ্ধজাত পণ্য প্রোটিনের ভালো উৎস।
প্রোটিন ডায়েট করে যারা ওজন কমাতে চান, তারা খাদ্যতালিকায় নিচের ফলগুলো রাখতে পারেন -
সকালে ভেজানো আখরোট খেলে মিলবে যেসব উপকারিতা
কলা
কলা অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল এবং পটাশিয়ামের একটি দারুণ উৎস। সহজলভ্য এ ফল খাদ্যতালিকায় রাখলে প্রোটিন, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, ফোলেট এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ একসঙ্গে পাওয়া যায়।
বেদানা
বেদানা অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এ ফলে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। বেদানা প্রোটিনেরও একটি ভালো উৎস।
পেয়ারা
ভিটামিন সি’র একটি চমৎকার উৎস হচ্ছে পেয়ারা। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ যেসব ফল রয়েছে তার মধ্যে পেয়ারা অন্যতম। এক টুকরো পেয়ারায় প্রায় ১.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
কিউই
প্রোটিনের অন্যতম উৎস হচ্ছে কিউই। এ ফলটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমশক্তি উন্নত করতে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল
প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের অন্যতম একটি উৎস হচ্ছে কাঁঠাল। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঠালের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাপ্রিকট
যারা মিস্টি খেতে ভালোবাসেন তারা খাদ্যতালিকায় অ্যাপ্রিকট বা খোবানি রাখতে পারেন। সুস্বাদু মিস্টি স্বাদের শুকনো খোবানি দিয়ে সকালের নাস্তা করতে পারেন। এতে পেট ভরবে, আবার মিষ্টির লোভও মিটবে।