সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেছেন, দেশটিতে নির্বাচন আয়োজন করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের এক সপ্তাহ পর এই মন্তব্য করলেন তিনি। মাত্র দুই মাস আগে আল-শারার নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অভিযানে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা থেকে সরে রাশিয়ায় পালিয়ে যান।
সিরিয়ার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত পূর্বে রেকর্ড করা এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেন, আমার অনুমান নির্বাচন আয়োজনে প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর প্রয়োজন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় চার বছর সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো পুনর্গঠন করতে হবে, যা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। একই সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি জানান, সিরিয়া হবে একটি সংসদীয় ও নির্বাহী সরকার ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।
শারা দায়িত্ব গ্রহণের পর আসাদ-যুগের সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং বাথ পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা কয়েক দশক ধরে সিরিয়ায় ক্ষমতায় ছিল।
এছাড়া, সিরিয়ার সংবিধান বাতিল করা হয়েছে এবং আসাদ-সমর্থিত সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শারার নিজ দল হায়াত তাহরির আল-শামসহ সব সশস্ত্র গোষ্ঠীও বিলুপ্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশ পরিচালনায় একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে, যা আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত সিরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।
শারার নেতৃত্বে নতুন সরকার দেশের অভ্যন্তরে শরণার্থী সংকট ও ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া টিকে থাকা কঠিন হবে।
এদিকে, আসাদের অনুগত কিছু বাহিনী এখনো ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে, যা শারা প্রশাসনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে।