সবজিতে স্বস্তি, অস্বস্তি তেল-চালের বাজারে


, আপডেট করা হয়েছে : 07-02-2025

সবজিতে স্বস্তি, অস্বস্তি তেল-চালের বাজারে

আসন্ন রমজানে বাজারে স্বস্তি ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। রমজানের চাহিদা মাথায় রেখে চিনি, ছোলা, ডাল, তেল ও খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যের যথেষ্ট আমদানি করা হয়েছে। খবরটি স্বস্তির হলেও এর মধ্যে হঠাৎই রাজধানীর বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমে গেছে। সব দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়বিন তেল। তবে আশার কথা, শীতের শেষ সময়ে এসেও সবজির বাজারে স্বস্তি আছে।


ভোজ্যতেলের ব্যাপারে বিক্রেতারা বলছেন, ভোজ্যতেল সরবারহকারী ভ্যান এলেও তারা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন যা দিয়ে যায়, একদিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে শীতকালীন সবজির প্রচুর সরবরাহের সুবাদে এ ধরনের পণ্য ক্রয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

বাজারের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ১৭৫ টাকা দামের এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। দুয়েকটি দোকানে থাকলেও গোপনে রাখা হচ্ছে। লিটারে বাড়তি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পেলে গোপনে বিক্রি করছেন দোকানিরা। তবে বড় দোকানগুলোতে দুই লিটারের বোতল ৩৫০ টাকা আর পাঁচ লিটারের বোতল ৮৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।


হঠাৎ সয়াবিন তেল উধাও কেন? জানতে চাইলে মিরপুর-১০ সেনপাড়ার বিক্রেতা জাকির হোসেন জানান, আগস্ট থেকেই এ অবস্থা। প্রয়োজন মতো তেল সরবরাহ করছেন না ডিলাররা। বোতলের তেল শেষ হয়ে গেলে ১৭০ টাকায় পামওয়েল বিক্রি করছি।


শীতকালীন সবজির বাড়তি সরবরাহের সুবাদে রাজধানীর বাজারগুলো এখনো এসব পণ্যের দাম স্বস্তিকর পর্যায়ে আছে। সস্তায় মিলছে গোল আলু, কেজি ২০ টাকা। পেঁয়াজের কেজি এখনো ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ভালো মানের গোল বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকায়, মাঝারি মানের বেগুনের কেজি মিলছে ৫০ টাকায়। তবে লম্বা বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায়।  বাজারে দেশি শসার কেজি ৮০ টাকা, হাইব্রিড ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ক্ষিরা ৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। আর ২৫০ গ্রাম ধনেপাতার দাম মাত্র ২৫ টাকা। গাজরের কেজি ৪০ টাকা, বড় ধরনের প্রতিটি লাউ ৫০ টাকা ৬০ টাকা, শিম ৩৫-৪০ টাকা, বিচিসহ শিম ৫০-৬০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, উস্তার কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা এবং ঢেঁড়শের কেজি ১০০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া মিলছে কেজি ৪০ টাকা, তবে দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের কাঁচা মিষ্টিকুমড়া মিলছে ৬০ টাকায়। শাকে শীতের আড়ষ্টতা পুরোপুরি বিদ্যমান। লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউপাতা ২০ টাকা। আর ২০ টাকায় মিলছে বড় আকারের চারটি লেবু, ওলকপির কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ফুলকপি যত বড়ই হোক মিলছে ২৫ টাকায়। বাঁধাকপি মিলছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।


সবজির বাজারে স্বস্তি মিললেও চালের বাজারের অস্বস্তি যাচ্ছে না। সব ধরনের চালে ঊর্ধ্বগতি। চিকন চাল ৮২ থেকে ৮৫ টাকা, বিআর-আটাশ ৬৫ টাকা, মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা রাখা হচ্ছে।


এদিকে ছোলার কেজি ১১০ টাকা, ছোলার ডাল ১২৫ টাকা, মোটা ডাল ১১০, চিকন ডাল ১৩৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা, চিনির কেজি ১২৫ টাকা, ডিমের ডজন ১৩০-১৩৫ টাকা রাখা হচ্ছে। হাতে ভাজা মুড়ির কেজি রাখা হচ্ছে ১৬০ টাকা। দোকানে বেসনের (অ্যাংকর ডালের) কেজি রাখা হচ্ছে ১২০ টাকা, তবে কারওয়ান বাজারের মতো পাইকারি বাজারের আশপাশে ২০ টাকা কম দামে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ পণ্য।


আগের দামে গরু-খাসির মাংস, স্থিতিশীল মাছের দর এদিকে, রাজধানীতে গরুর মাংসের কেজি রাখা হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। খাসির মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে বাজারভেদে ১ হাজার ১২০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের মাংস ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার