বড় টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ একটা রেওয়াজই হয়ে গিয়েছিল। তবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সেসব হচ্ছে না। আইসিসি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ দিচ্ছে না কোনো দলকেই। যে কারণে শেষ মুহূর্তে এসে সব দল দ্বিপাক্ষিক কিংবা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে চলতি বছর একটাও ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। যার ফলে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের কাজটা কঠিনই হয়ে পড়েছে। সে ঘাটতি পোষাতে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য খেলবে। সে ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হবে পাকিস্তান শাহীনস।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শাহীনস বাংলাদেশ ছাড়াও আরও দুই দলের বিপক্ষে খেলবে। তবে বাকি দুই ম্যাচের জন্য আবার আলাদা আলাদা দুটি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ১৪-১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। মূল আসরটি চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত।
তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান শাহীনস আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। ১৭ ফেব্রুয়ারি দুটি ভেন্যুতে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে— করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং দুবাইতে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এছাড়া, ১৬ ফেব্রুয়ারি করাচিতে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ডের মধ্যেও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তান শাহীনসের নেতৃত্বে থাকবেন ভিন্ন তিনজন অধিনায়ক। ১৪ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে দলকে নেতৃত্ব দেবেন অলরাউন্ডার শাদাব খান। ১৭ ফেব্রুয়ারির করাচির ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেবেন মোহাম্মদ হুররাইরা। একই দিনে দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান শাহীনসের অধিনায়ক হবেন মোহাম্মদ হারিস।
এই ম্যাচগুলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানের চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানে পৌঁছেছে এবং স্বাগতিক দলের সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিচ্ছে।
সবগুলো ম্যাচ ডে-নাইট ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে খেলোয়াড়রা কৃত্রিম আলোর নিচে খেলার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।