গাজায় ইসরাইলি ট্যাংক থেকে রাতভর গোলাগুলি


, আপডেট করা হয়েছে : 04-03-2025

গাজায় ইসরাইলি ট্যাংক থেকে রাতভর গোলাগুলি

ইসরাইলি ড্রোন হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া খান ইউনিসে বিমান থেকে আসা গুলিতে তিন জন আহত হয়েছে। 


সোমবার গাজার চিকিৎসাকর্মীরা হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 


ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থান নেওয়া ইসরাইলি ট্যাংকগুলো সারারাত ধরে গোলাগুলি ও শেল নিক্ষেপ করেছে।


হামাস-সমর্থিত একটি গোষ্ঠীর এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, গাজার যোদ্ধাদের মধ্যে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে।


এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা খান ইউনিস উপকূলীয় এলাকায় একটি মোটরবোট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ওই বোট ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছিল এবং হুমকি তৈরি করছিল।


সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণে তাদের বাহিনীর দিকে দুইজন সন্দেহভাজন এগিয়ে আসছিল এবং হুমকি তৈরি করছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে।’


ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে জানুয়ারিতে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ গত সপ্তাহান্তে শেষ হয়েছে। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনও চুক্তি হয়নি।


১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী ৯০০ বারেরও বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। 


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে পৌঁছেছে এবং অন্তত ৪৯০ জন আহত হয়েছেন।  


এদিকে, ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে ইসরাইল ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করছে। 


তারা ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘মানবিক সহায়তাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ বাড়ানো এবং তাদের ওপর গণহত্যামূলক নীতি প্রয়োগ করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’ 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার