সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম রিমান্ডে


, আপডেট করা হয়েছে : 06-03-2025

সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম রিমান্ডে

নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বিক্রির মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমকে দুই দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।


বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। 


এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 


কাফরুল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক সুবীর ঘোষ রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এর আগে বুধবার (৫ মার্চ) জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 


গত বছর ৯ অক্টোবর ১১ কোটির বেশি মানুষের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


সেই মামলার এজাহারনামীয় আসামি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। 


মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডির তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসার অনুমতি দেন। এসব তথ্য দেশি-বিদেশি প্রায় ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। 


এতে আরও বলা হয়, তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে অপরাধ করেছেন আসামিরা।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার