টেলিযোগাযোগে আধুনিকায়নের নতুন প্রকল্প


, আপডেট করা হয়েছে : 11-03-2025

টেলিযোগাযোগে আধুনিকায়নের নতুন প্রকল্প

জনগণকে আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ফোরজি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে টেলিটক। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক। এতে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। চীন ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জিটুজি অর্থায়নে হতে যাওয়া প্রকল্পটিতে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে চীন আর নয়শ কোটি টাকার বেশি অর্থের জোগান দেবে বাংলাদেশ। 


প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) কিছু শর্ত দেয়। এরপর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে যে দরপত্র আহ্বান করা হয়। 


সেখানে বলা হয়,অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি দরপত্রে অংশগ্রহণ করার জন্য টেন্ডার সিকিউরিটি অর্থাৎ দরপত্রের নিরাপত্তা অর্থ ৩০ লাখ ইউএস ডলার জমা দিতে হবে এবং এটাও বলা হয় যে, সকল কোম্পানিকে শুধুমাত্র একক পণ্য প্রস্তাব করতে হবে। কোনো বিকল্প পণ্য দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ একই প্রযুক্তিসম্পন্ন কেবল একটি পণ্যই থাকতে পারবে, একাধিক কোম্পানির পণ্য উল্লেখ করার সুযোগ নেই। 


অন্যদিকে এই দরপত্র প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হওয়ার কথা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের দরপত্র দুটি আলাদা করে বা খামে জমা দিতে হবে। যার শুরুতে থাকবে প্রস্তাবিত পণ্যের কারিগরি বিবরণ। অন্যটিতে থাকবে আর্থিক প্রস্তার। দরপত্র কমিটি প্রথমে পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সক্ষমতা মূল্যায়ন করবে। শুধুমাত্র কারিগরি মূল্যায়নে যোগ্য আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেই আর্থিক দরপত্র বিবেচনা করা হবে। কিন্তু প্রক্রিয়ার মধ্যে কিছু জটিলতা থাকার কারণে আবার দরপত্র আহ্বান করার বিষয়ে আলোচনা হয়।


এ বিষয়ে সিপিটিছড বলছে, নতুন দরপত্রে টেলিটক কাকে আহ্বান করবে সেটা টেলিটকের নিজস্ব এখতিয়ার। একই কথা বলছে ইআরডি। তাদের মতে, টেলিটক যদি এই ইপিসির মধ্যে কোনো পরিবর্তন চায় তাহলে সেটা টেলিটকের কাজ ইআরডি জানানোর। সেই অনুযায়ী ইআরডি চীন সরকারের সাথে আলোচনা করে সমাধান চাইবে।


প্রযুক্তি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম ভঙ্গ করার কারণে সীমিত দরপত্রের মধ্যে যদি আবারো আগে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলো অংশ নেয়, নয়, তাহলে তাহলে। আবার জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায় এই সীমিত দরপত্রটি একটি সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। অংশীজন ও বিশ্লেষকদের মতে, এই বড় বাজেটের অর্থবহ প্রকল্পের সার্থকতা নিশ্চিতে দরপত্রে আরো যোগা ও পেশানার প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার