'দেখা অইব, জুনে আইমু, দেখা অইব'


, আপডেট করা হয়েছে : 18-03-2025

'দেখা অইব, জুনে আইমু, দেখা অইব'

নিজের বাড়িতে এত মানুষ দেখে অভিভূত হামজা চৌধুরী। ভিড় সামাল দেওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় কিছুটা ফাঁকা হয়ে গেলে তখন হামজাকে বাড়ির আঙিনায় আনা হয়। ঢাকা থেকে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এ সময় কথা বলেন তিনি। হামজা সবার কথার জবাব দেন হাসিমুখে।


সিলেটের ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন হামজা। তাই শুরুতেই রাখঢাক না করে বলেছেন, তিনি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে চান না। তার নাকি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে ভালো লাগে না। ফুটবলারদের সঙ্গেও সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলবেন।


বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই শুনছেন প্রচুর মানুষ তাকে দেখার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে রয়েছে। দেশে ফিরে সেটা নিজ চোখে দেখে বলেছেন, 'জিও বহুত ভালো লেগেছে। আমি কল্পনাও করিনি, এত মানুষ আসবে। তারা আমাকে ভালোবাসা দিচ্ছে এতে কোনো চাপ অনুভব করছি না। বরং এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।' 

বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে খুব একটা ধারণা নেই হামজা চৌধুরীর। তবে হামজা উন্নত দেশের ফুটবলে খেলেন। সেখানে তার নিজের খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। হামজা এমন প্রশ্নে বলেছেন, 'আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। সর্বশেষ কিছু মাস ধরে কোচের সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়েছে। জামাল ভূইয়ার সঙ্গে কিছু কিছু কথা হইছে আমার। তবে বেশি কথা হয়েছে কোচের সঙ্গে।'


হামজা ইংলিশ লিগের ফুটবলার, ওখানকার ফুটবল স্পিড আর বাংলাদেশের ফুটবল স্পিডের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে হামজা জানিয়েছেন, 'ইনশাআল্লাহ, খুব ভালোই হবে। কোচের অধীনে তারা ভালো অনুশীলন করেছে। কোচ আমাকে কিছু বিষয়ে বলেছে। আমি সব জানি।'


ভারত শক্তিশালী দল। ভারতের বিপক্ষে জেতা হয় না অনেক দিন হয়ে গেল। বাংলাদেশে হামজা আসবে বলে ভারত তাদের অবসরে যাওয়া সুনীল ছেত্রীকে জাতীয় দলে এনেছে। সুনীলের খেলা দেখা হয়েছে কি না। উপমহাদেশের ফুটবল সম্পর্কে কি ধারণা আছে? সেই প্রশ্নে হামজা বলেন, 'আসলে আমি বেশি দেখছি না, আমি হুনছি সে খুবই ভালো খেলোয়াড়। আসলে আর কারো কথা ভাবছি না, আমরার টিম নিয়েই ভাবছি।' 


ভারতকে খুব একটা দেখছি না। আমরা ভারত নিয়ে কনসেন্ট্রেশন করছি না। আমরা আমাদের নিয়ে কনসেন্ট্রেশন করছি। দেখা যাক কিতা হয়।' সুনীল ছেত্রী তার পজিশনে খেলবেন। দেখা হবে হামজার সঙ্গে। এ নিয়ে বলেন, 'আমি সেসব নিয়ে ভাবছি না।' ম্যাচ জয়ের প্রশ্নে হামজা বলেন, 'কনফিডেন্স আছে।' এ সময় ভারতের বিপক্ষে গোল করার চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।


ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে মোটেও চাপ অনুভব করছেন না হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলতে চান। ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলা হয়নি এই ফুটবলারের। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে খেলেছেন। তার মতো একজন বড় মাপের ফুটবলার দক্ষিণ এশিয়ায় নেই। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার জানালেন তিনি বাংলাদেশকে আগামী এশিয়ান গেমসে নিয়ে যেতে চান। আপনার মতো প্রবাসী ফুটবলার আসলে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখতে পারে? 'ইনশাআল্লাহ, এভরিথিং পসিবল।'


ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর জুনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলা। ঢাকা স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের আশ্বস্ত করে হামজা বলেছেন- 'ইনশাআল্লা, দেখা অইব, জুনে আইমু, দেখা অইব।'



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার