প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে কী আলোচনা হলো


, আপডেট করা হয়েছে : 19-03-2025

প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে কী আলোচনা হলো

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।


পরে সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। একই সঙ্গে দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়।


এ সময় সেনাপ্রধান সম্প্রতি তার সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। এই সফরটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সেনাপ্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


সাক্ষাতে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। সেনাপ্রধান সদ্য সমাপ্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন, যেখানে বিবিধ কারণে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য ও জেসিওদের সুবিচার নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। 


এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় সেনাবাহিনী যে ব্যবস্থা নিয়েছে, সে সম্পর্কেও সেনাপ্রধান বিস্তারিত তুলে ধরেন।


প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।


মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ১৯ মার্চ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন:-


“মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতের মুঘল সম্রাটগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন আওরঙ্গজেব। তার কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পরার কারণে সেখানে কারফিউ জারির মত ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়, অমানবিক ও দুঃখজনক। বিজেপির মদদপুষ্ট বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলসহ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর উস্কানীর কারণেই ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বার বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে। এ জন্য বিজেপি সরকারই দায়ী। বিজেপি সরকারের এ ধরনের সাম্প্রদায়িক তৎপরতা জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত মানবাধিকার ও ধর্মীয় অধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বিজেপি সরকার ভারতে বসবাসকারী ২০ কোটির অধিক মুসলামানকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভারত সরকারের মুসলমান নিধনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।


ভারতে মুসলিম নিধন বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি জাতিসংঘ এবং ওআইসিসহহ সব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার