কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আবারও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পকিস্তান। এবার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি, যার রেঞ্জ ১২০ কিমি। সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই ক্ষেপণাস্ত্রের এই পরীক্ষা চালানো হয় বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চলালো পাকিস্তান।
এর আগে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি।
তারও আগে সিন্ধু চুক্তি বাতিলসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও।
পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপের পর দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রতি তলানিতে ঠেকেছে। মিলছে পাল্টাপাল্টি হামলার আভাসও।
সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটি এখন সীমিত পরিসরে সামরিক হামলার আভাস দিচ্ছে।
এতে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে এশিয়ায়ও একই পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কোনোমতেই আরেকটি যুদ্ধ চাইছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ভারতীয় পর্যটক। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) বরাবর সপ্তম দিনের মতো দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাবিনিময় হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ দুটি সীমিত পরিসরে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সূত্র: জিও নিউজ