দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা পর পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গের একটি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে খুলনা ও বেনাপোলগামী ট্রেনের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে। শনিবার সারা দিন ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইনের মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে রেল লাইন চ্যুত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলের পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা হাছিনা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ ২টি কোচ ভাঙ্গা জংশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় দক্ষিণবঙ্গের সব ট্রেন চলাচল।
হাছিনা খাতুন জানান, শুক্রবার রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ দুটি উদ্ধারে দুটি ক্রেন এনে লাইন সচল করা হয়। পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সিগনাল পরিবর্তন করেছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, শুক্রবার রাত ৯টা দিকে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশনে লাইনচ্যুত হয়। এরপর রাত থেকে শনিবার সারা দিন দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধারসহ ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের মেরামত করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভাঙ্গা জংশন হয়ে ফরিদপুর রাজবাড়ী যাওয়ার মাধ্যমে এই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে শনিবার সারাদিন খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ও রূপসী বাংলা নামে দুটি ট্রেন ও বেনাপোলগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, আশা করছি, রোববার থেকে খুলনা ও বেনাপোলগামী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সব যাত্রী রাতেই সড়ক পথে তাদের গন্তব্যে রওনা দেয়।