রাজশাহীতে দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ


, আপডেট করা হয়েছে : 15-05-2025

রাজশাহীতে দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আধিপত্য বিস্তার এবং স্থানীয় পুকুরের ইজারার দরপত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই গ্রুপ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।


ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় এবং তিনটি মোটরসাইকেলে।


বুধবার রাতে পুঠিয়া উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিকালে দরপত্র নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনা গড়ায় রাত পর্যন্ত।


পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।


সংঘর্ষে আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।


বিকালের ঘটনা সন্ধ্যার পর একপর্যায়ে পুঠিয়া বাজারে দু’পক্ষ দেশি অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।


পুলিশ শুরুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সেনাবাহিনী দুপক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বর্তমানে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।



বিএনপি নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের অনুসারীরা এবং অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপি নেতা ফারুক রায়হানের অনুসারীরা।


পুঠিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, “সন্ধ্যার পরে হঠাৎ দেখি দুই দিক থেকে লোকজন লাঠিসোটা, রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসছে। বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কেউ কেউ আমাদের দোকানে আশ্রয় নেয়। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মারামারি চলে। পরে সেনাবাহিনী এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগে পার্টি অফিসের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।”


স্থানীয় বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, “আমার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানে যাচ্ছিল, ওর মোটরসাইকেলটা আগুনে পুড়ে গেছে। পুরো এলাকা এখন আতঙ্কে আছে।”



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার