ধর্ষণ মামলায় জামায়াতের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার


, আপডেট করা হয়েছে : 20-05-2025

ধর্ষণ মামলায় জামায়াতের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক জামায়াত নেতা আবুল হাসনাত রতনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্য তার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনসহ ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়েরের পর র‌্যাবের সহায়তায় তাকে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা থেকে  গ্রেপ্তার করা হয়। 


সোমবার (১৯ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।


রোববার সকালে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকার শাজাহানপুর থেকে র‌্যাবের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এর আগে গত ২ মে ভুক্তভোগী ওই নারী রংপুর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত ওই আবুল হাসনাত রতন বালারহাট ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনা জানাজানির পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।


মামলার এজাহারে অভিযোগকারী নারী ইউপি সদস্য উল্লেখ করেন, ইউনিয়নের কাজের সুবাদে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতনের সঙ্গে গত ২৮ মার্চ সরকারি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনার কথা বলে রংপুর শহরের আদর্শপাড়ায় চেয়ারম্যানের ভাড়া বাসায় তার ব্যাক্তিগত সহকারী আল আমিন নিয়ে যায়। ঘরে ঢুকে আলাপকালে পূর্ব পরিকল্পনা মত আল আমিন সটকে পড়ে। তারপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পরপরই তিনি কয়েকজন ইউপি সদস্যকে ফোনে বিষয়টি জানান। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমঝোতার প্রস্তাব দিয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। বিচার না পেয়ে অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী ইউপি সদস্য।


এদিকে ঘটনার পর চেয়ারম্যান রতন আত্মগোপনে চলে গেলে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।


রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্য মামলা করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।


রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল বাতেন হারুন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে প্রায় মাস দুয়েক আগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান হওয়ায় তাকে ওই ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছিল। তিনি এখন জামায়াতে ইসলামীর কেউ নয়।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার