রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কিছু অস্ত্র সরবরাহ আপাতত স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মুখোমুখি হয়েছে। তাই যুদ্ধাস্ত্র এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সামরিক সহায়তা সরবরাহ বন্ধ করা সম্ভবত ইউক্রেনের জন্য একটি আঘাত হবে।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি একটি ইমেলে এএফপিকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অন্যান্য দেশগুলোতে আমাদের দেশের সামরিক সহায়তা এবং সহায়তার বিষয়ে ডিওডি (প্রতিরক্ষা বিভাগ) পর্যালোচনা করার পর আমেরিকার স্বার্থকে প্রথমে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
’
সামরিক সহায়তা হ্রাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগ্রাধিকারের সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে স্থগিত শান্তি আলোচনা দ্রুত করার জন্য চাপ দিয়েছেন। রিপাবলিকান গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি আয়োজনে এবং ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা কমাতে আরো বড় ভূমিকা পালনের দিকে এগিয়ে গেছেন।
পেন্টাগন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পূর্বে প্রতিশ্রুতি দেওয়া কিছু অস্ত্রের মজুদ খুব কম হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি কোন ধরনের অস্ত্র পাঠানো স্থগিত হয়েছে।
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, এতে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও নির্ভুল হামলার অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি প্রশ্নাতীত। তিনি গত মাসে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হয়।
তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, আমরা দেখছি কিছু অস্ত্র দেওয়া সম্ভব কি না। তবে এর আগে মার্চ মাসে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা হয়, যেখানে ট্রাম্প পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের বরাদ্দ করা সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
সূত্র : রয়টার্স, এএফপি