৩০৩ করেও হারের কারণ জানালেন তামিম


স্পোর্টস ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 06-08-2022

৩০৩ করেও হারের কারণ জানালেন তামিম

ওয়ানডেকে বলা হয় বাংলাদেশ দলের ‘পছন্দের’ ফরম্যাট। ৫০ ওভারের ম্যাচে স্বস্তিতে খেলে টাইগাররা।

পরিসংখ্যানও তাই বলে। ওয়ানডেতেই বাংলাদেশের বেশি সাফল্য। 

কিন্তু শুক্রবার সেই চিত্রটা যেন পুরোপুরি পাল্টে দিলেন জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়া।

দুই সেঞ্চুরিয়ানের কারণে ৩০৩ রান করেও হারল বাংলাদেশ। তবে এ হারের জন্য ক্যাচ মিস আর বাজে ফিল্ডিংকে দুষলেন তামিম ইকবাল। এছাড়া হেরে যাওয়ার পেছনে ১৫-২০ রান কম হওয়াও একটি কারণ বলে মনে করছেন তিনি।

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই শোনালেন তামিম।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন , আমাদের আরও ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল। আমরা ১ উইকেটে ২৫০ রানের মতো অবস্থায় ছিলাম। এ অবস্থায় থাকলে একটু দ্রুত রান তোলা দরকার ছিল, যেন আমরা ওই অতিরিক্ত ১৫-২০ রান করতে পারি।

এরপর ক্যাচ মিসের মাশুল গুণেছেন বলে জানালেন এ ড্যাশিং ওপেনার। বললেন, প্রতিদিন আমি ক্যাচিংয়ের কথা বলি। কোনো না কোনো দিন তো এটা আমাদের হারের কারণ হতো। এটাই হয়তো সেই দিন ছিল। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে আমরা অনেকবার ক্যাচ ফেলেছি। কিন্তু ম্যাচ জিতে গিয়েছি। কিন্তু যখন এমন ভালো উইকেটে আপনি ৪টা ক্যাচ ফেলবেন, তাহলে আপনি বেশি ম্যাচ জিতবেন না। এখন মনে হচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে পরের ম্যাচের আগে।

শুধু ক্যাচিং নয়, পুরো ফিল্ডিং নিয়েই হতাশ তামিম। বাংলাদেশ অধিনায়কের ভাষ্যে, অনেক সহজ রান দিয়েছি। এই মাঠে ২ রান হবে। কারণ, এক পাশটা বিশাল। এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। কিন্তু সহজগুলো, যেগুলো সহজেই ডট বল হতে পারত, সেগুলো থামাতে পারলে আমরা আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। এগুলো অবশ্যই কষ্ট দেয়।

তবে একটি পরাজয়ের অনেক কারণ দেখানো যায় বলেও উল্লেখ করেন তামিম। কারণ, জেতা ম্যাচেও ভুল থাকে। আর সেসব কারণকে আমলে নিয়েই পরের ম্যাচের আগে শুধরে নেওয়াই উত্তম বলে জানালেন তিনি। 

তামিম বললেন, আমি সব সময়ই বলি, হারের পর অনেক কিছুর দিকেই আঙুল তোলা যায়। কিন্তু এই কথাগুলো আমি জিতে এসেও অধিনায়ক হিসেবে বলতাম। জেতার পরও আমি সব সময় বলি, এটা ভুলে গেলে হবে না যে আমরা কী কী জায়গায় ভুল করেছি। আজকের দিনটা দারুণ একটা উদাহরণ—এত দিন যে আমরা ক্যাচ ফেলে, বাজে ফিল্ডিং করেও জিতেছি, একদিন না একদিন এটা আপনাকে এসে ধরতই। আজকেই সেই দিনটা।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার