দক্ষিণী সিনেমা বলতে দুই জনপ্রিয় তারকা আল্লু অর্জুন এবং রাম চরণের নাম চোখে ভেসে উঠে। তারা শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও ঘনিষ্ট আত্মীয়। সম্পর্কে কাজিন এই দুই তারকা। ছোটবেলা থেকে হায়দরাবাদের একই ছাদের নিচে বেড়ে ওঠা তাদের।
তবে তাদের মধ্যে প্রায় দুই দশক ধরে কোনো কথা নেই। এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে। সম্প্রতি তাদের এই দীর্ঘ নীরবতার পেছনের কারণ জানা গেছে। এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নেহা শর্মার কারণে এই তারকারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন না।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আল্লু অর্জুন এক সময় নেহা শর্মার সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এবং তাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে ভাবতে শুরু করেছিলেন। তবে নেহা তখন দক্ষিণী সিনেমায় নিজের জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। পরে বলিউডেও ইমরান হাশমির বিপরীতে ‘ক্রুক’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
এদিকে ২০০৭ সালে রাম চরণের অভিষেক চলচ্চিত্র ‘চিরুথা’ র মধ্য দিয়ে। এ সিনেমার শুটিং চলাকালে এই দুই ভাইয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ‘চিরুথা’ ছবির শুটিং চলাকালীন রাম চরণ এবং নেহা শর্মার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। ওই সময় এমনও গুজব ছিল যে তারা নাকি গোপনে বিয়ে করে মধুচন্দ্রিমায় চলে গেছেন। এই ঘটনা আল্লু অর্জুনের জন্য এক বড় ধাক্কা ছিল।
তিনি সহজে মেনে নিতে পারেননি। তার ভালোবাসার মানুষ, রাম চরণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এ কারণে নেহার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন আল্লু। এরপর রাম চরণের সঙ্গেও কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি। সেই থেকে এই দুই তারকার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়; যা আজও অব্যাহত।
রাম চরণ এই বিষয়ে একটি টেলিভিশন চ্যাট শো-তে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন, আমি বিবাহিত মানুষ এ ধরনের গুজব আমার দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। একজন স্বামী হিসেবে আমার দায়িত্ব, এমন পরিস্থিতি তৈরি না করা, যেখানে আমার স্ত্রীকে আমাকে অন্য নারীদের থেকে রক্ষা করতে হয়।
তিনি বলেন ‘চিরুথা’ আমার প্রথম ছবি ছিল এবং তখন থেকেই এই গুজব ছড়াতে শুরু করে। আমার বাবা বলেছিলেন, এসব মিথ্যা খবরকে গুরুত্ব না দিতে।
বর্তমান স্ত্রী উপাসনা সে সময় তার ভালো বন্ধু ছিলেন উল্লেখ করে রাম চরণ জানান, তিনিও জানতেন যে এসব গুজব এবং ভিত্তিহীন। ২০১২ সালে রাম চরণ এবং উপাসনার বিয়ে হয়।
অন্যদিকে, আল্লু অর্জুন ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্নেহার সঙ্গে পরিচিত হন এবং পরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
দীর্ঘ এ সময়েও এ দুই তারকা ভাইয়ের নীরবতা ভাঙবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।