চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যজুড়ে ৪১৪টি অভিযানের মাধ্যমে মোট ৩১৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
রাজ্যের ইমিগ্রেন বিভাগের পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামারুদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত জুলাই পর্যন্ত সর্বোচ্চসংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৭৭টি অভিযানের মাধ্যমে ২১৫৮ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজ্যের ক্লাং থেকে ৬১৭, হুলু ল্যাঙ্গাট ১৯৩, কুয়ালা সেলাঙ্গর ১০২ এবং বাকিদের অন্যান্য জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
একই সময়ে ৯৪১ জন বিদেশির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনা হয়েছে; যার মধ্যে ৩৮৭ ইন্দোনেশিয়ান, ২৪৫ বাংলাদেশি, ১১৪ ভারতীয়, ৮১ পাকিস্তানি, ৪১ নেপালি, ২৮ মিয়ানমার, ১৮ শ্রীলংকান এবং বাকিরা বিভিন্ন দেশের।
বেশিরভাগ অপরাধের মধ্যে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ সময় ধরে অবস্থান করা, বৈধ পাশ-পারমিট বা ভ্রমণ নথি না থাকা।
‘সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগ ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ৫৬(১)(এল) ধারা অনুসারে বিদেশিদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ২২ জন নিয়োগ কর্তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দপ্তরে এক মিডিয়া এনগেজমেন্ট সেশনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিচালক।
পরিচালক খায়রুল আমিনুস বলেন, ৩১ জুলাই পর্যন্ত, সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে ৯৭৭ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে; যার মধ্যে ৬৫৫ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ইন্দোনেশিয়ার ১২৩, বাংলাদেশ ৯৮, ভারত ৩৫, পাকিস্তান ২০ এবং অন্যান্য দেশের ৪৬ জন রয়েছেন।
পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে, বিভিন্ন দেশ থেকে ১০৩০ জন বিদেশিকে ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ার পরে তাদের নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিদেশি বন্দিদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো বা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ১২১৯ জন বিমানপথে এবং ৩৭২ জনকে সমুদ্রপথে পাঠানো হয়।
পরিচালক বলেন, রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে এবং জনসাধারণকে তাদের এলাকায় বিদেশিদের সম্পর্কে তথ্য বিভাগকে জানানোর অনুরোধ করছে।
অভিবাসন বিভাগ, বিশেষ করে সেলাঙ্গরে, বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে দেশে ইতোমধ্যেই যারা আছেন তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উপাদানগুলো বাস্তবায়ন করবে বলে জানান রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক।