শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান


, আপডেট করা হয়েছে : 15-09-2025

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।


সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় ট্রাইব্যুনালে আসেন তিনি। এদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলের সামনে তার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। তবে মামলার পরবর্তী দিন মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাক্ষ্য দেবেন বলে প্রসিকিউশন জানিয়েছে।


এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার ১৪তম দিনে ছয়জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে পর্যন্ত মোট ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ রেকর্ড করেছে ট্রাইব্যুনাল। ৮ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল।


গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। মামলার তদন্তে তিনি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে এবং ক্ষমা চেয়ে তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে অজানা অনেক তথ্যও উন্মোচন করেন।


১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে ছয়জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন, যাদের মধ্যে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। সাক্ষীদের বর্ণনায় গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।


গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে। মামলায় পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।


আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। এছাড়া, ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার