মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। লন্ডনের উইন্ডসর প্রাসাদে পৌঁছানোর পর তাকে এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে রাজকীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রথমে প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়াম ও তার স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন তাদের স্বাগত জানান। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
রাজকীয় আইরিশ স্টেট কোচে করে উইন্ডসর ক্যাসলে পৌঁছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি ব্রিটিশ রাজা-রানির পাশে দাঁড়িয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। লন্ডনের মতে, সামরিক কুচকাওয়াজ এবং আকাশে যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনীসহ এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা।
এরপর ট্রাম্প রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সেনাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে ট্রাম্প ও মেলানিয়া সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল পরিদর্শন করে সেখানে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরকে কেন্দ্র করে লন্ডনজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যেই 'স্টপ দ্য ট্রাম্প কোয়ালিশন'-এর নেতৃত্বে লন্ডনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, উইন্ডসর প্রাসাদের একটি টাওয়ারে ট্রাম্প ও জেফ্রি এপস্টিনের ছবি প্রদর্শন করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই সফর দুই দেশের বিশেষ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। তিনি জানিয়েছেন যে, ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য, শুল্ক কমানো, ইউক্রেন এবং ইসরায়েল নিয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সময়ে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন।