প্রতিপক্ষের হামলা, অপমানে প্রাণ দিলেন বিএনপি নেতা


, আপডেট করা হয়েছে : 21-09-2025

প্রতিপক্ষের হামলা, অপমানে প্রাণ দিলেন বিএনপি নেতা

খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন (৪৪) দলীয় প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়ে ক্ষোভে-অপমানে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুল মজিদ গ্রুপের অনুসারী হিসাবে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন সেলিম রেজা লাকী।


অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কৃত এনামুল হকের অনুসারী সভাপতি প্রার্থী ছিলেন আসলাম পারভেজ এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ। মোশারফ উপজেলা শাখার সভাপতি মজিদ গ্রুপের কর্মী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী লাকির সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেন।


হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে সেলিম রেজা লাকি বলেন, সম্মেলনের দিন বিকেল ৩টার দিকে পৌর বিএনপির একজন নেতা মোশারফকে গালিগালাজ ও মারপিট করেন। আগেও তাকে অনেকবার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এজন্য অপমানে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।


এ বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, পারিবারিক বিষয়ে মনোকষ্টে তিনি বিষ পান করেছিলেন।


 তবে তার ওপর হামলা ও অপমান করার প্রসঙ্গে মন্টু বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারছিনা।’


নিহত মোশারফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন সুমন বলেন, ‘মোশারফ দলকে ভালোবাসতেন। তেমনি প্রচণ্ড আবেগী ছিলেন। তাকে শারীরিকভাবে মারপিট করায় অপমানিত হন। রাতেও অনেক সময় কথা হয়। কিন্ত সে ছিল নীরব। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার মেয়ে ফোন করে জানায় আব্বু বিষ খেয়েছে। তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আইসিইউ না পাওয়ায় গাজী মেডিক্যালে আনা হয়েছিল।’


তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘মোশারফ আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ’



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার