রাজশাহীর পুলিশ কমিশনারকে আদালতে তলব


, আপডেট করা হয়েছে : 15-11-2025

রাজশাহীর পুলিশ কমিশনারকে আদালতে তলব

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৭) হত্যার ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি লিমন মিয়া (৩৬)-এর বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় আদালতে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (আরএমপি) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 


মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী ধার্য তারিখ আগামী ১৯ নভেম্বর। এর আগে পুলিশ কমিশনারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।


আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহীর রাজপাড়া থানার আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন। আদালতের পেশকার আমজাদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ভাড়া ফ্লাটে কৌশলে প্রবেশ করেন অভিযুক্ত লিমন মিয়া। এরপর আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন লিমন।


এ ছাড়া আব্দুর রহমানের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন লিমন। পরে অভিযুক্ত লিমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।'

আদেশে আরো বলা হয়, গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী অভিযুক্ত লিমন পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় কেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে আইনি  ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে সশরীরে এ আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।


গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে খুন হয় বিচারকের ছেলে তাওসিফ। হামলায় আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও। এ ছাড়া হামলাকারী নিজেও ধস্তাধস্তিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সেদিনই তার ভিডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়।


সূত্রঃ কালের কন্ঠ



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার