বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরিতে ম্যাচটা রাঙালেন মুশফিক। এতেই মুশফিকের কাছে এসে ধরা দিয়েছে বহু রেকর্ড। তার মধ্যে ‘সেঞ্চুরিতে’ সেঞ্চুরি করার বিরল রেকর্ড টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাসে মুশির আগে করেছেন মাত্র ১০ জন।
শততম টেস্টের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম খেলোয়াড় ইংল্যান্ডের মাইকেল কলিন কাউড্রেই করেছিলেন সেঞ্চুরি।
১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শততম টেস্ট খেলতে নেমে এই ব্যাটার করেছিলেন ১০৪ রান।
এর দুই দশক পর ১৯৮৯ সালে এই কীর্তি গড়েন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে তার শততম টেস্ট খেলতে নেমে ১৪৫ রান করেন তিনি।
এরপর এই এলিট ক্লাবে একে একে প্রবেশ করেন গর্ডন গ্রিনিজ ও অ্যালেক স্টুয়ার্ট।
১৯৯০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১৪৯ রান।
তার এক দশক পর ২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট করেন ১০৫ রান।
এরপর ২০০৫ সালে শততম টেস্ট খেলতে নামে পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হক। জাভেদ মিয়াঁদাদের মতো তারও প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।
সেদিন ১৮৪ রানে থামেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।
আগের পাঁচজন নিজের শততম টেস্টের এক ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও নতুন ইতিহাস গড়েন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং। তিনি ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংসেই শতক হাঁকিয়ে অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেন। দুই ইসিংসে তিনি করেছেন যথাক্রমে ১২০ ও ১৪৩*।
এরপর গ্রায়েম স্মিথ ও হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০০তম টেস্টে করেন সেঞ্চুরির রেকর্ড।
স্মিথ ২০১২ সালে শততম টেস্টে ১৩১ রান করেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, আর আমলা ২০১৭ সালে ১৩৪ রান করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
শততম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জো রুট আর ডেভিড ওয়ার্নার তো ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ওয়ার্নার করা কাঁটায় কাঁটায় ২০০-এর বিপরীতে রেকর্ড শততম টেস্টে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ২১৮ রান করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক রুট।
এবার ২০২৫ সালে এসে এই এলিট ক্লাবে ১১তম খেলোয়াড় যোগ দিলেন মুশফিক। নিজের শততম ম্যাচে ১০৬ রান করেছেন এই বাংলাদেশি কিংবদন্তি।