‘কর্মঘণ্টা কমলেও সেবায় ঘাটতি হবে না’


, আপডেট করা হয়েছে : 24-08-2022

‘কর্মঘণ্টা কমলেও সেবায় ঘাটতি হবে না’

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে সময়সূচি এগিয়ে আনা হলেও নাগরিকদের সেবায় কোনো ঘাটতি হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বুধবার সকালে নতুন অফিসসূচি শুরুর দিন সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ আশ্বাস দেন।

এতদিন অফিস শুরু হতো সকাল ৯টায়। নতুন নিয়মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে অফিস শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ৮টার কিছু আগেই সচিবালয়ে আসেন মন্ত্রী। একই সময় নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকেও সচিবালয়ে ঢুকতে দেখা যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সেবা দেওয়ায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। আমি খবর নিয়েছি, সব কর্মকর্তা সঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন। যেসব সেবা দেওয়া প্রয়োজন, তা এই নতুন সময়সূচিতেই সম্ভব।

অফিসের এই নতুন সসয়সূচি কতদিন অব্যাহত থাকবে জানতে চাইলে তাজুল বলেন, সেটি নিয়ে টাইমফ্রেম ঠিক হয়নি।

বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে বিভিন্ন দেশের নেওয়া পদক্ষেপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ইউরোপসহ অনেক দেশে শপিংমল ৬টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এশিয়াতেও কোনো কোনো জায়গায় ৬টা বা ৮টায় বন্ধ করে।

সরকার আরও কোনো উদ্যোগের কথা ভাবছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের যতগুলো সুযোগ আছে সবই নেওয়া উচিত। যত বেশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারি তা হলে উৎপাদনে মূল্য কম পড়বে। অপচয় কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। অপচয় করলে জাতীয় অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। আমাদের অপচয় বন্ধ করতে পারলে ভালো।

বেসরকারি অফিসের সময়সূচি পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত ‘হতে পারে’।

তিনি বলেন, বেসরকারি অফিসের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা না হলেও আমার মনে হয় সরকারি অফিস যদি আগে বন্ধ হয়, ব্যাংক আগে বন্ধ হয়, স্বাভাবিকভাবে তারাও কর্মঘণ্টা কমাতে পারে।

ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক সংকটের কথা তুলে ধরে তাজুল বলেন, যুদ্ধের কারণে খাদ্যদ্রব্যের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, মারত্মাক চাপ পড়েছে জ্বালানির ওপর।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার