সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের ১৭ বছর কারাদণ্ড


, আপডেট করা হয়েছে : 25-05-2022

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের ১৭ বছর কারাদণ্ড

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৯ জনকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।


বুধবার (২৫ মে) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।


আসামিরা হলেন- ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।


রায়ে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে।


এছাড়া প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে দণ্ডিতদের ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে।


এদিন এ মামলার আসামি ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং এজিএম কামরুল হোসেন খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে আদালত সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।


মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার