মোহনপুরে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষের অবৈধ কমিটি বাতিলের সুপারিশ


, আপডেট করা হয়েছে : 08-09-2022

মোহনপুরে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষের অবৈধ কমিটি বাতিলের সুপারিশ

রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এর বিভিন্ন অনিয়ম ও সদ্যগঠিত অবৈধ কমিটি বাতিল করে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জন্য বিশেষভাবে সুপারিশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এমপি। গত ৩০ আগস্ট সংসদ সদস্য স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশ পত্র কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেয়া হয়।

সুপারিশ পত্রে সংসদ সদস্য বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় কেশরহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট-এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক অপসারণ করে তার সমুদয় বেতন-ভাতাদী সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারন তার সনদ জালিয়াতিসহ অবৈধ্য নিয়োগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এরপরও উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফ আলী গোপনে নিজ স্বাক্ষরিত পত্রে নিজের স্ত্রী, ভাইসহ নিকট আত্মীয়দের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বরাবর ২৪/০৩/২০২২ ইং তারিখে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেন। যা জুলাই ২০২২ অনুমোদন হয়ে আসছে।

সুপারিশ পত্রে আরো বলা হয়েছে, উপরোক্ত বিষয়ে কাগজপত্র যাচাই করে বর্ণিত কমিটি বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বৈধভাবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জন্য বিশেষভাবে সুপারিশ করছি।

সুপারিশ পত্রে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এমপিও শাখা হতে প্রেরণকৃত কপি সংযুক্ত করা হয়েছে। যার স্মারক নং- ৫৭.০৩.০০০০.০২৮.১১.০০৬.১৯-৮২৫, তারিখ: ০৯/০১/২০১১ ইং। এছাড়াও এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনের কপি সংযুক্ত করা হয়।

এবিষয়ে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এমপি বলেন, কেশরহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এর বিভিন্ন অনিয়ম ও সদ্যগঠিত অবৈধ কমিটি বাতিল করে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জন্য বিশেষভাবে সুপারিশ করেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সহিত বিবেচনার জন্য বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এলাকাবাসী আবেদন পেয়েছি। কিন্তু মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বাক্ষরিত ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে কমিটির পক্ষে সুপারিশ এসেছে। সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে, একই প্রতিষ্ঠানের সদ্য যোগদান করা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন এক সপ্তাহ না যেতেই শুন্য পদে নিয়োগ বানিজ্যে নেমে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের শুন্য পদে নিয়োগ দিতে তিনি দরকষাকষি শুরু করেছেন। এ তথ্যের নির্দিষ্ট রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যদিও এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন নতুন অধ্যক্ষ।

তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমি ১লা সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেছি। এধরণের কোন কাজ আমি করিনি। এটার সাথে মেয়র আছে, এমপি আছে। এটা তাদের ব্যাপার। এসময় তার বক্তব্যে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া যায়।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার