ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করে ৭৫ লাখ টাকার স্বর্ণ লুট চক্রের দুইজনকে গ্রেফতারসহ স্বর্ণ উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল। লুট চক্রের সদস্যরা হলেন- রাজিব কর্মকার মিঠু এবং তপু কর্মকার।
বুধবার (২৫ মে) বিকাল ৩টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ।
এসময় তিনি বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সত্য নারায়ণ জুয়েলার্সের কর্মচারী বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর গ্রামের অভিজিত কুড়ি ৮৮ ভরি ৫ আনা গলানো স্বর্ণ নিয়ে গহনা তৈরির উদ্দেশ্যে গত মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। তিনি নোয়াখালীর চৌমহনী এলাকায় পৌঁছলে সেখান থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তার নিকট থাকা স্বর্ণ লুটে নেয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এদিন সন্ধ্যায় অচেতন অবস্থায় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ অভিজিত কুড়িকে উদ্ধার করে। পরে তার কাছ থেকে ঘটনা জেনে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে অভিযানে মাঠে নামে পুলিশ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, বুধবার ভোরে প্রথমে কুমিল্লার দাউদকান্দির সাহাপাড়া গ্রাম থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজিব কর্মকার মিঠুকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমহনী পৌরসভা এলাকার হাজীপুর গ্রামের তপু কর্মকারকে চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার বাগানবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার নিকট থেকে উক্ত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার রাজিব ওই জুয়েলার্সের মালিকের আত্মীয় এবং একসময় তিনি ওই দোকানে কাজ করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও স্বর্ণ লুটে নেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।