রাজশাহীতে মেতেছে আম বাজার


, আপডেট করা হয়েছে : 28-05-2022

রাজশাহীতে মেতেছে  আম বাজার

আমের রাজা গোপাল ভোগে মেতেছে রাজশাহীর বাজার। গত ২০ মে থেকে রাজশাহীর বাজারে আসছে গোপাল ভোগ। সেইসঙ্গে ক্রেতারাও ছুটছেন এ আমের পেছনে। গুটির পাশাপাশি গোপাল ভোগ আম আসছে বাজারে।
গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর বৃহৎ আমের বাজার বানেশ্বর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রচুর পরিমাণে আম জমা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনা-গোনায় মুখোরিত আম বাজার। সকাল ১০টার পর থেকেই বাজারে আম আসতে শুরু করে। বেচা-কেনা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা আম নিয়ে দরকষাকষিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ দাম হাঁকাচ্ছেন, তো কেই কিনে নিয়ে আড়দে ঢুকাচ্ছেন। এর পর সেই আম বাছাই করে প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। সেই প্যাকেট ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোথাও কোথাও অপেক্ষা করছে ট্রাক।

এ বাজারে আম বিক্রি করতে আসা বাঘার চাষি আহসান আলী মুন্না বলেন, ‘এবার আম বিক্রি করে খুব শান্তি পাচ্ছি। বাজারে আমের চাহিদা আছে। দামও ভালো আছে। তাই আম বিক্রি করতে এসে মন ভরে যাচ্ছে। গতবার আম নিয়ে এসে বসে থাকতে হতো। তেমন পার্টি ক্রেতা) পাওয়া যেত না। বসে থেকে থেকে আশানরুপ দাম না পেয়েও বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে হতো। এবার আশানরুপ দাম পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এ বছর আমের উৎপাদন অনেকটা কম। তবে ভালো দাম পাওয়ায় সেটি পুশিয়ে যাচ্ছে।’
বাজারের আম ব্যবসায়ী নাজিরুল ইসলাম বলেন, এবার গুটি আমই এখন কিনতে হচ্ছে অন্তত ১২শ টাকা মণ। গত বার এই সময়ে গোপাল ভোগ পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা মণ। আর গুটি ছিল ৫০০-৬০০ টাকা মণ। এবার আমের পরিমাণ কম, আবার চাহিদাও আছে বেশ ভালো। তাই দামও আছে ভালো।’

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, বানেশ্বর বাজারে রাজশাহী ও নাটোরের মিলে অন্তত ২০টি উপজেলা থেকে আসে আম। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ ট্রাক আম আসছে বাজারে। সেগুলো কেচা-কেনা শেষে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। গতকাল এ বাজারে প্রতি মণ গুটি আম (৪৫ কেজিতে মণ) বিক্রি হয়েছে ৮-১৪শ টাকা। আর গোপাল ভোগ আম বিক্রি হয়েছে ১৮-২২শ টাকা দরে।

এদিকে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল আলীম কালের জানান, এবার রাজশাহীতে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন। যা গত বারের চেয়ে আড়াই হাজার মেট্রিক টন বেশি। আর এটি হলে অতিতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। তবে এবছর শুরু থেকেই গাছে গাছে মুকুলের পরিমাণ কম থাকা এবং টানা খরার কারণে প্রচুর পরিমাণ আমের মুকুল এবং গুটি আম ঝরে গেছে। ফলে এবার আমের উৎপাদন অনেকটা কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার