রাজশাহীর চারঘাটে তহসিলদারের বিরুদ্ধে খাজনা আদায়ের নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শামীনুল ইসলাম। শামীনুল ইসলাম রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চৌমহনী নওদাপাড়া এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে।
তার অভিযোগ, উপজেলার মিরকামারী এবং গুয়াবাসীনা মৌজার খাজনা ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা শুনিয়ে ২৫ হাজার টাকা নেন চারঘাটের সরদহ ভূমি অফিসের তহসিলদার কাওসার আলী। আরো ১৫ হাজার টাকা দাবি করলেও চেক দিয়েছেন ৪০৬ টাকার।
বিষয়টি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে তার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। বিষয়টি জানিয়ে তহসিলদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আরও ৭ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় তিনি জমির উপর মামলা আছে জানিয়ে ভয়-ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দেন এমনকি দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
খাজনা দিতে গিয়ে তহসিলদারকে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন একই এলাকার বাসিন্দা জারজিস হোসেন। একই দিনে তিনিও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি বলেন, ৬টি খতিয়ানে তহসিলদার কাউসার আলী তার কাছে ১০ হাজার ৮০০ টাকা নেন। কিন্তু খাজনা ১০ হাজার ২০৫ টাকা। বাড়তি টাকা ফেরৎ চাইলে তহসিলদার তাকে হুমকি দেন। দুই স্থানীয় কাউন্সিলের হস্তক্ষেপে ঘুষের টাকা ফিরিয়ে দেন। ভবিষ্যতে তহসিলদার যেনো আর কারো কাছে ঘুষ নিতে না পারেন এটিই তিনি চান।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে এনিয়ে কথা বলতে রাজি হননি সরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কাউছার আলী।
তবে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, অভিযোগ দুটি সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে উপজেলার সহকারি কমিশনারকে (ভূমি)। অভিযোগের প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।