৪ অক্টোবর ব্ল্যাক আউটের ঘটনায় জড়িত দুই কর্মকর্তাকে আজই সাময়িক বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের সঙ্গে মানুষের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। দুই কর্মকর্তাকে আজই সাময়িক বহিষ্কার করা হচ্ছে। বাকিদের এক সপ্তাহের মধ্যে চিহ্নিত করা হবে।
নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে এই বিপর্যয় ‘ম্যান ম্যানেজমেন্ট’ অর্থাৎ, মানুষের কাজ একটি কারণ হিসাবে এসেছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে বলেছি নামগুলো প্রস্তাব করতে। নাম পাওয়ার পর অভিযুক্ত সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হবে। আজ-কালের মধ্যে এই শাস্তির পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।
৪ অক্টোবর একযোগে দেশের একটি বড় অংশে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পিজিসিবি একটি তদন্ত কমিটি করে। শুক্রবার রাতে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের পেছনে কারিগরি নয়, মূলত ব্যবস্থাপনা ত্রুটি ছিল। আর এজন্য দায়ী সঞ্চালন কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে ব্ল্যাকআউট হয়েছিল, সেটা পিজিসিবি তার ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। যার কারণে ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটে। সেদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা (ডিমান্ড) বেশি ছিল। ডেসকো থেকে তাদের বলা হয়েছিল যে তোমরা কাট ডাউন করো, নইলে বাধাগ্রস্ত হবে। কিন্তু তারা শুনেনি। বলা হয়েছিল, এটা না করলে ফ্রিকোয়েন্সি আরও ওপরে উঠে গিয়ে ক্র্যাশ করবে। বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। ওরা কথাটা শোনেনি, কন্টিনিউ করেছে। একপর্যায়ে ব্ল্যাকআউট হয়েছে।’