জাতীয় দলে আর ফেরা হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা ছিল একসময়ের হার্ডহিটার সাব্বির রহমানের। গত তিন বছর ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। জেলায় জেলায় খ্যাপ খেলে বেড়াতেন তিনি।
তবে সবাইকে চমকে দিয়ে এশিয়া কাপের আগে হঠাৎ করেই টাইগার শিবিরে ঢুকে পড়েন তিনি। স্টাইলিশ ওপেনার সৌম্য সরকারকে বাদ দিয়ে কেন সাব্বিরকে নেওয়া হলো দলে? সে প্রশ্নে চলে তুমুল সমালোচনা।
নির্বাচকরা জানান, টি-টোয়েন্টিতে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে নতুন পরিকল্পনায় সাব্বিরের অন্তর্ভুক্তি।
এশিয়া কাপে যোগ দিয়ে শ্রীলংকা ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামানো হয় সাব্বিরকে। কিন্তু সুযোগের খুব একটা সদ্ব্যবহারই করতে পারেননি রাজশাহীর এ ক্রিকেটার। প্রথম ম্যাচে ৬ বলে ৫ রান করেই আউট হন। পরের ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি, ৩ বলে শূন্য করেন। এর পর ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ বলে ১২ এবং পরের ম্যাচে ধরে খেলা শুরু করেন। তবু ১৮ বলে ১৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এমন বাজে পারফরম্যান্সের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিমানে চড়া হলো না তার। বিশ্বকাপ দলে সৌম্যকে রেখে ছেঁটে ফেলা হয়েছে সাব্বিরকে। শনিবার দেশে ফিরেছেন তিনি।
দেশে ফিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের স্বীকার হন সাব্বির। তেমন কোনো পারফরম্যান্স না দেখিয়ে কীভাবে তাকে জাতীয় দলে ফেরানো হয়েছিল, সে প্রশ্ন ওঠে ফের।
সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে রোববার রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন সাব্বির। তিন বছর পর জাতীয় দলে তাকে ফেরানোর কারণ জানালেন তিনি।
লাইভে সাব্বির বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরে আমাকে নিয়ে অনেক ট্রল, কথা ও নিউজ হচ্ছে। দেখেন আমি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলেছি। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ভালো খেলেছি। সে জন্যই কিন্তু আমাকে এশিয়া কাপে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে; এর পর বিশ্বকাপ দলে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। যদি আমি পারফর্ম না করতাম, তা হলে আমি এশিয়া কাপে-বিশ্বকাপে ডাক পেতাম না। যদি আমি মানুষের কিছু করে সুযোগ পেতাম, তা হলে তিন বছর বসে থাকতাম না। ’
এর পর নিজের ব্যর্থতাও অকপটে স্বীকার করেন এ ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে চার ম্যাচে আমি কিছু করতে পারিনি। যার জন্যই কিন্তু আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে আমি একটুও অখুশি নই। একটুও আক্ষেপ নেই আমার। আমার কোনো ইমোশন নেই। ’