রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহীর সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অদ্ভুতভাবে দুটি পক্ষ দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। এর ফলে সৃষ্ট জটিলতার সুযোগ নিয়ে কিছু উদ্দেশ্যপ্রবণ ব্যক্তি প্ররোচণা চালাতে থাকে। যা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান দুটিকে মুখোমুখী দাঁড় করিয়েছে। অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে শিক্ষানগরী রাজশাহী। দুই প্রতিষ্ঠানের চলমান দ্বন্দ্বের পিছনে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্বহীন আচরণকে দায়ী করেন বক্তারা। এছাড়াও রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা ও রাবিতে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে উভয় কর্তাব্যক্তিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান ৮০’র দশকের এই সাবেক ছাত্ররা।
এছাড়াও বক্তারা ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এক পেশে বক্তব্য দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। একজন সংসদ সদস্য হয়ে তিনি কোনো পক্ষের হয়ে বক্তব্য না দিতেও পারতেন বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৮০ দশকের ছাত্র নেতা ও রাবির সাবেক ভিপি রাগিব হাসান মুন্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বাবু, রাজশাহী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর রাতে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী এজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর রামেকে ব্যাপক ভাংচুর চালানো জয়। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক ও রাবি শিক্ষার্থীদের মারপিটের ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠান উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই পরিস্থিতিতে রাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মন্তব্য করে আরও আগুন ঘি ঢালেন রাজশাহীর স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এতে রাবি শিক্ষার্থী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।