যাত্রীসেবায় অটো চালকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ


, আপডেট করা হয়েছে : 04-11-2022

যাত্রীসেবায় অটো চালকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার কুহাড় গ্রামের হক সাহেবের বড় ছেলে সোহেল রানা করতেন রাজমিস্ত্রীর কাজ। নয় মাস আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ ছেড়ে সংসারের হাল ধরেছে অটোর আয়ে।

অটো চালিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি যাত্রীদেরও স্বস্তি দিচ্ছেন চালক সোহেল। অনান্য অটোর থেকে তার অটোতে দেখা গেছে ভিন্নতা । তীব্র গরমে যাত্রীদের একটু প্রশান্তি দিতেই এই চালক অটোতে লাগিয়েছেন ফ্যান। যাত্রী ওঠা নামার সময়টুকু ছাড়াও অপেক্ষমান যাত্রীদের গরমে স্বস্তি মেলে সোহেল রানার অটোতে।

যাত্রী আনোয়ার হোসেন কাটাখালী থেকে খরবোনায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন সোহেলের অটোতে এ সময় তিনি বলেন অটোতে ফ্যান লাগানোর বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে অনেক সময় তীব্র গরমে যাত্রীদের কষ্ট হয় এটাতে কিছুটা স্বত্তি পাচ্ছি তাছাড়া অনেক সময় রোগীদেরও অটোতে যেতে হয় সে ক্ষেত্রে রোগীদেরও সুবিধা হয়।

আরেক যাত্রী লিজা বলেন, অন্য অটোতে এমন দেখিনি চালকরা যখন যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করে তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীদের গরমে কষ্ট হয় এ অটোতে ফ্যান থাকায় গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছি।

কথা হয় চালক সোহেল রানার সাথে তিনি বলেন, নয় মাস থেকে অটো চালিয়ে সংসার চালাই। গরমের কারণে নিজের জন্য একটা ফ্যান লাগানোর পর যাত্রীদের গরম থেকে একটু স্বস্তি দিতেই ফ্যান লাগিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা গরীব মানুষি এক দুইজন যাত্রী নিয়ে তো যাওয়া যায় না যাত্রী ওঠার পর অপেক্ষা করতে চায় না গরমে কষ্ট হয়। এখন ফ্যান যাত্রীরা বিরক্ত হয় না।
এছাড়াও এমন সুবিধা পাওয়ায় সোহেলের গাড়িতে যাত্রী হয় বেশি অনেকেই আবার ফোন করেও ভাড়া করে তার অটো।

অন্য চালকরা বলেন, সোহেলের অটোতে ফ্যান থাকায় যাত্রীরা বেশি ওঠে। যেটা তাদের অটোতে দেখা যায় না।

অন্যদিকে বিশেষ এই সুবিধার জন্য যাত্রীদের গুনতে হয় না বাড়তি ভাড়া। র্নিধারিত ভাড়াতেই নেওয়া হয় যাত্রীরা পান এই সুবিধা তবে অনেকেই খুশি হয়ে দু পাঁচ টাকা দেন


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার