নওগাঁ বিআরটিএতে টাকা ছাড়াই সেবা পাচ্ছেন গ্রহীতারা


নওগাঁ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 26-11-2022

নওগাঁ বিআরটিএতে টাকা ছাড়াই সেবা পাচ্ছেন  গ্রহীতারা

 নওগাঁয় সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তীতে কমাতে সফল

হয়েছেন মোটরযান পরিদর্শক ফয়সাল হাসান শুুধু তাইনয় অবৈধ দালালদেরকেও নিমূল

করেছেন তিনি। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল মোটরযান

পরিদর্শক হিসেবে অফিসটিতে যোগদান করেন ফয়সাল হাসান। তার প্রথম কাজ ছিল

দালাল নির্মূল করা। বলা যায় সে কাজেও অনেকটাই সফল হয়েছেন তিনি। এখন

বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা সরাসরি বিনা টাকায় সেবা

পাচ্ছেন। আর এ কাজে নিরন্তন সহযোগিতা করছেন মোটরযান পরিদর্শক ফয়সাল হাসান,

মেকানিক্যাল ্ধসঢ়;এ্যাসিটেন্ট আশরাফুল ইসলাম ও অফিস সহকারি ওহিদুর রহমান। তবে

কাজের ক্ষেত্রে সহকারি পরিচালকের তেমন সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলে বিস্তর

অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে যানা গেছে সহকারি পরিচালক ্ধসঢ়;(ইঞ্জিন )

হ্ধসঢ়;ারুন উর রশিদের অত্যন্ত প্রিয়জন বলে খ্যাত এমদাদুলকে অফিসের ভিতর থেকে সরিয়ে

দেওয়ায় তিনি কিছুটা নাখোশ হয়েছেন বলেও জানা গেছে। বিতারিত এমদাদুল এখন

এমন কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যাতে করে নওগাঁ বিআরটিএ অফিসের প্রানন্ত সেবা

সত্বেও পরিশ্রমি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে।

বিতারিত এমদাদুল নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও নওগাঁ মোটর মালিক

সমিতির লিখিত সুপারিশে বিআরটিএ নওগাঁ সার্কেল অফিসে ‘ সিল গর্ভনর ’

হিসাবে দীর্ঘ ১৫ বছর মজুরি ভিত্তিতে কাজ করতো। এ সময় তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু

অভিযোগ আসায় ও তার সত্যতা পাওয়ায় তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এ ভাবে মজুরি

ভিত্তিতে এখনো কিছু লোকের কাজের ব্যবস্থা বিআরটিএতে রয়েছে।

বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ নীতি ঘোষনার পর থেকেই নওগাঁ বিআরটিএ

ডিজিটাল পদ্ধতির নিয়ন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম ‘অনলাইনে’ শুরু করে। এরই

ফলশ্রুতিতে একজন সেবাগ্রহিতা যখন একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসেন তখন

থেকেই সেবা গ্রগিতাকে নিজ দায়িত্বে সকল কিছুই করতে হয় । এ সময় অনলাইনে

আবেদন করতে গিয়ে গ্রাহক প্রথমেই একজনের সহায়তা গ্রহন করে থাকেন। এই

সহায়তার বিনিময়ে সহায়তা দানকারি যে টুকু সামান্য মজুরি গ্রহন করে থাকেন

তাকে এক শ্রেণীর সুবিধা বঞ্চিত প্র্ধাসঢ়;ক্তন সুবিধাভোগিরা এই সামান্য মজুরিকে

ঘুষ বলে প্রচার চালিয়ে থাকেন। প্রকৃত পক্ষে অনলাইনে কাজের সময় সেবা গ্রহিতা

যেহেতু নিজে সকল প্রকার লেনদেন করে থাকেন সেহেতু ঘুষ লেনদেনের কোন সুযোগ

থাকে না। একই নিয়মে গ্রহকগন গাড়ীর সোরুম থেকেও সেবা গ্রহন করে থাকেন।

সরেজমিন অনুসন্ধান কালে দেখা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিআরটিএ শুধু

মাত্র পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে। এর পর থেকে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম জেলা প্রশাসকের

কার্যলয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং প্র্যাক্টিক্যাল

পরীক্ষার সকল কার্যক্রম জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের মাধ্যমেই গ্রহন করা হয়ে থাকে।

সুতরাং এখানে বিআরটিএ-র ঘুষ গ্রহনের কোন অবকাশ পাওয়াযায় নি।

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের দূর্ণিতিগ্রস্থ খাত হিসাবে যেখানে প্রথম

দশটির মধ্যে বিআরটিএ রয়েছে সেখানে উলেখিত কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় নওগাঁ

বিআরটিএ সার্কেল এখন সম্পূর্ন ঘুষমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। একই

চিত্রের অনুরুপ দেখা গেছে নওগাঁ পাসপোর্ট অফিসেও।#


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার