লন্ডনের ক্যাসেট শুনে বিএনপি নেতারা আওয়াজ দেয় : লিটন


নিজস্ব প্রতিবেদক , আপডেট করা হয়েছে : 01-12-2022

লন্ডনের ক্যাসেট শুনে বিএনপি নেতারা আওয়াজ দেয় : লিটন

রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের নামে বড় শোডাউন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলনের নামে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা ও তাদের অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ।


বৃহষ্পতিবার বিকেলে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বড় বড় সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।



খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিজয়ের এই মাসে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ বিশাল মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করলো। এই মানুষগুলোকে মাদ্রাসা মাঠে ঢোকালে মাদ্রাসা মাঠ ভরপুর হয়ে যাবে। যেইটার জন্য বিএনপি কয়েকদিন ধরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে রাজশাহীর আটটি জেলা থেকে ভাড়া করে লোকজন নিয়ে এসে তারা মাঠে ভর্তি করে দেখাতে চায়। আসুন-দেখুন, মাত্র একদিনের নোটিশে আমরা কী রকম বড় মিছিল ও সমাবেশ করতে পারি। আমরা শুধুমাত্র রাজশাহী মহানগর এই আয়োজন করেছি। রাজশাহী জেলা ও অন্যান্য জেলাকে আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করতে বলেছি।



তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগ মানেই জনগণের সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিল তিল করে তার যৌবনের সমস্ত উত্তাপ দিয়ে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত করেছিলেন। সেই দল আওয়ামী লীগকে দুর্বল ভাবেন না, শেখ হাসিনাকে দুর্বল ভাবেন না।



খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, লন্ডনে বসে ক্যাসেট বাজায় তারেক জিয়া। আর সেই তারেক জিয়ার ক্যাসেট শুনে এরা এখানে আওয়াজ দেয়। আমরা বলতে চাই আপনাদের হাওয়া ভবন, চম্পা ভবন, খোয়াব ভবন ছিল। খোয়াব ভবনের মতো খোয়াব আর দেখেন না। আর খোয়াব দেখে লাভ নাই। আবারো ক্ষমতায় বসবেন, লুটপাট করবেন- আপনাদের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হবে না।


মেয়র লিটন বলেন, আপনারা সমাবেশ করছেন, আমরা জানি কেন করছেন। নির্বাচনও করবেন। এখন বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করবেন না, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবেন না। আপনাদের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। নির্বাচনে আসেন, কিছু আসন পেলেও পেতে পারেন। জনগণ যদি দেয়, তাহলে কিছু আসন পেতে পারেন।


বিএনপির উদ্দেশ্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সরকার অনুমতি দিয়েছে সমাবেশ করেন। ভদ্রভাবে করেন, ৮ জেলা থেকে লোক নিয়ে এসে করেন, কোনটাতে আপত্তি নেই। কিন্তু যদি শুনি কোথাও কোন গাড়ি ভেঙেছেন, যানবাহনে আগুন দিয়েছেন বা জনগণের মাঝে অশান্তি তৈরি করেছেন, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। কিন্তু দলীয়ভাবে আমরা ক্ষমতাশীন দল ছেড়ে দিতে পারি না। জনগণ আমাদের রায় দিয়েছে, জনগণের পক্ষে কাজ করার জন্য, উন্নয়ন দেবার জন্য, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবার জন্য, আমরা সেটি রক্ষা করতে ওয়াদাবদ্ধ।


অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন প্রমূখ।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার