ইইউকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সার্বিয়ার


, আপডেট করা হয়েছে : 31-05-2022

ইইউকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সার্বিয়ার

ইইউর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার গ্যাস কিনতে আরও ৩ বছরের নতুন চুক্তি করছে সার্বিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ­াদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর এ ঘোষণা দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক।

আগামী মাসের শুরুর দিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সার্বিয়া সফর করবেন। তার ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে গ্যাস চুক্তিটি সই হতে পারে।

সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আলজাজিরা। রাশিয়ার সর্ববৃহৎ জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ বিষয়ে সার্বিয়ার আগে থেকেই ১০ বছরের চুক্তি ছিল।

যেটির মেয়াদ আগামী ৩১ মে শেষ। তার আগেই নতুন করে আরও তিন বছরের জন্য চুক্তির বিষয়ে একমত হতে পেরে দারুণ খুশি ভুসিক।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখনই গ্যাসের দামের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে গ্যাজপ্রমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক করে নেওয়া হবে।’ গ্যাসের দামের বিষয়ে তথ্য না দিলেও এবারের গ্যাসের দাম তেলের দামের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকবে এবং এ বিষয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে একমত হয়েছেন বলেও জানান।

জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাশিয়া সরকার।

নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তুত নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন : ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনই রাশিয়ার ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তুতি না থাকার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশেষ করে রাশিয়ার তেলে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইইউর কয়েক সদস্যরাষ্ট্র জোর আপত্তি জানিয়েছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে আর কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার পুনরায় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ইইউ নেতাদের। দুদিনের এ সম্মেলনে ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সমর্থন, জ্বালানির দাম, খাদ্য সংকট এবং ইইউ সদস্যদের প্রতিরক্ষা নিয়ে যে উদ্বেগে তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলার উপায় নিয়েও আলোচনা হবে।

আরেক শহরে ঢুকে পড়ছেন রুশ সেনারা : ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্কের সেভেরোদোনেস্ক শহরের গভীরে ঢুকে পড়ছেন রুশ সেনারা। সোমবার লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি গাইদাই এ কথা জানিয়েছেন। দনবাসের লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদোনেস্কই সবচেয়ে বড় শহর, যার কিছু অংশ এখনো কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি এই শহরে হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গাইদাই বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের জন্য হতাশার খবর রয়েছে, শত্রুরা শহরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। গভর্নর গাইদাই বলেন, পার্শ্ববর্তী লিসিচানস্ক শহর এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। দুই শহরের মধ্যকার মূল সড়কে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। তবে সড়কটি এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি।

নতুন রাষ্ট্র গড়তে চান ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী : ‘আমরা শুধু ইট এবং কংক্রিট পুনরুদ্ধার করতে চাই না। আমরা একটি নতুন রাষ্ট্র চাই।’ রোববার বিবিসির সঙ্গে এক জুম সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া তার দেশের ২৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা, কয়েকশ সেতু এবং ১২টি বিমানবন্দর ধ্বংস করেছে।

শুধু তাই নয়, শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৫০০টিরও বেশি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এবং ২০০টি কারখানা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে রুশ আগ্রাসীরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেন, বোমা বা শেলের আঘাতে ৩ লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি জমি আবাদ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তিনি অনুমান করেন, দেশের জিডিপির ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বিলীন হয়ে গেছে। মাসিক বাজেট ঘাটতি ৫০০ কোটি ডলার।

অবকাঠামো এবং অর্থনীতির সরাসরি ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি ডলার। এ সময় তিনি জানান, যুদ্ধ-পরবর্তী পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের মতো প্রধান অবকাঠামো পুনরুদ্ধার এবং সেতু ও রাস্তা পুনর্গঠন করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে দারুণভাবে পুনর্গঠন করতে হবে। এর জন্য ইউক্রেনের নিজস্ব তহবিলের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে আন্তর্জাতিক সাহায্য।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার