মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকীতে সমগ্র জাতি বীর সন্তানদের স্মরণ করেছে। এইদিনটি উদযাপনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে এই দিনে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রাজশাহীর মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মহানগর আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক আজিজুল আলম বেন্টু।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে মহান বিজয় দিসব উপলক্ষ্যে অসহায় ও দু:স্থদের পেটপুরে খাওয়েছেন তিনি। নগরীর সাগরপাড়া কল্পনা সিনেমা হল মোড় লবঙ্গ চাইনিজ ও ফাস্টফুড রেস্তোরার মেহমান খানায় এই খাবার খাওয়ানো হয়।
এসময় বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু উপস্থিত ছিলেন।
মেহমান খানায় রিকশা-ভ্যান চালক, অটোচালকসহ দিনমজুরসহ দু:স্থ ও অসহায়রা রাতের খাবার পেটপুরে খায়। প্রায় ২ শতাধিক দু:স্থ মানুষ রাতে খাবার খায়। খাবারের তালিকায় ছিলো মুরগির মাংস ও ভাত।
জানা যায়, শুধু বিজয় দিবস বলে নয়, প্রতিটি জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করে আত্মতৃপ্তিবোধ করেন সমাজ সেবক আজিজুল আলম বেন্টু।
আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, সবাই যেখানে রেস্টুরেন্ট খুলে লাভ-লোকসানের হিসাব করতে ব্যস্ত থাকেন, তিনি সেখানে একেবারেই অন্যরকম। রেস্টুরেন্টের অতিরিক্ত বা বেঁচে যাওয়া খাবারদাবার নয়, বরং বিশেষভাবে রান্না করা খাবার দিয়েই মেহমানদারি করেন তিনি অভুক্তদের। ভাত, মাছ, মাংস, ডিম, শাকসবজি- এসব থাকে খাদ্যের তালিকায়।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর জাতীর সূর্যসন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধারা পাকাহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনে লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে। আমি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আজ বিজয়ের যে উল্লাস তা সত্যিই গর্বের। জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙ্গালীজাতি ঝাপিয়ে পড়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলো। জাতির পিতা শেখ মুজিব যদি স্বাধীনতার ডাক না দিতেন তাহলে আমাদের এমন বিজয় আসতো না। তাই এইদিনে জাতির পিতা শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। এছাড়াও তারই সূযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে অনন্য উচ্চতায় পরিচয় করিয়েছেন তার জন্যও দোয়া করি।
মেহমান খানায় খেতে আসা শাহজানান বলেন, ‘এখানে আমি নিয়মিত খেতে আসি। এখানে পেট ভরে, মন ভরে খাওয়ানো হয়- এটা খুবই ভালো লাগে। আমাদের জাতীয় বিজয় দিবসে আজিজুল আলম বেন্টু আমাদের মতো মানুষের কথা ভেবেছেন। এতে আমরা অনেক খুশি।