রাশিয়ার হামলার যেন কোনো বিরতি নেই। কোনো ছুটির দিন নেই। শুক্র, শনি বা রবিবার মানে না রাশিয়ার ড্রোন, গোলাবারুদ আর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। আচমকাই কিয়েভে সাইরেন বেজে ওঠে। এর পর বোমার ঝড় নেমে আসে আকাশ থেকে। এ যেন এক অভিশপ্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে।
ইউক্রেনজুড়ে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই শুক্রবার ফের এই শহরটিতে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে মস্কো। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। খবর রয়টার্সের।
কিয়েভ প্রশাসন জানিয়েছে, কিয়েভের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর কিয়েভে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
গতকাল জল ও আকাশ থেকে ইউক্রেনে একসঙ্গে প্রায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। ওই হামলায় দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংখ্যা রয়টার্স জানিয়েছে, কিয়েভ প্রশাসন রাত ২টায় টেলিগ্রামে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করে এবং তাদের দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দক্ষিণ কিয়েভের ২০ কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণ এবং বিমান বিধ্বংসী গোলার শব্দ শোনা যায়।
রাজধানীর গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা হামলার ব্যাপারে টেলিগ্রামে বলেন, 'ড্রোন দিয়ে হামলা চলছে।’ কয়েক ঘণ্টা পর তিনি আবার বলেন, 'অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।’
হামলার ব্যাপারে পরে কিয়েভে সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, রাতে পাঁচটি ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা হয়েছে। সবই ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু একটি ড্রোনের ছোড়া গোলা হোলোসিভের সরকারি ভবনে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এতে ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আশপাশের বাড়িগুলোর জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।