নওগাঁর বদলগাছী থানার অপহরণ ও ধর্ষণ অভিযোগের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে শালিসী বৈঠকের মাধ্যেমে মিমাংসার সময় ভিডিও ধারণ করায় দৈনিক মানবকন্ঠ ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বদলগাছী থানা পুলিশের সামনে এক সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী হারুন অর রশিদ উপজেলার আধাইপুরই উপি”র পাতকোলা গ্রামের মৃত মুনসুর আলী সরদারের ছেলে ও আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল কবির পল্টন এর চাচাতো ভাই।
গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে থানার প্রধানফটকের সামনে সোহাগ হোসেনের মুরগীর দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এজাহার সূত্রে জানাযায়, আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি ভিজিএফ এর চাল বিতরণের সময় চেয়ারম্যানের অনিয়মের ভিডিও ধারণ করে ২৮/০৪/২০২২ ইং তারিখে দৈনিক মানবকন্ঠসহ অন্যান্য পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশও গত ২২/১১/২০২২ ইং তারিখে আধাইপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রসগুনা গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৩) কে একই উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ রকি কর্তৃক অপহরণের অভিযোগে বদলগাছী থানা পুলিশ ভিকটিম সাদিয়াকে উদ্ধার করে আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে আপোষু মিমাংসার জন্য শালিসী বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে ভিকটিম সাদিয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম ও ভাই উজ্জল হোসেনকে মারধর করেন হারুন অর রশিদ। উক্ত মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন ও সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক মিঠু হাসান। উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের জেরধরে হারুন অর রশিদ সাংবাদিক মিঠু হাসানকে উক্ত স্থানে একা পেয়ে তার পথরোধ করে এলোপাথারী ভাবে কিল-ঘুষি মারে এবং মিঠু হাসানের কাছে থাকা নগদ ৮ হাজার ২শ টাকা ও তার দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। এসময় তার আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সাংবাদিক মিঠু হাসানকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে হারুন অর রশিদ।
ভিকটিম সাংবাদিক মিঠু হাসান বলেন, আমি থানার সামনে চা খেয়ে সোহাগের মুরগীর দোকানের সামনে দাঁড়ালে এমন সময় আগে থেকেই উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী হারুন অর রশিদ আমাকে সোহাগের মুরগীর দোকানের সামনে অতর্কিত ভাবে এলো পাথাড়ি ভাবে কিল- ঘুষি মারতে মারতে বলে এই শালা তুই কত বড় সাংবাদিক হয়েছিস আমার বিরুদ্ধে ভিডিও ভাইরাল করিস আবার নিউজ করিস বলে মারতে থাকে এবং আমার জ্যাকেটের পকেটে থাকা ৮ হাজার ২শ টাকা ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়।আমার ডাক চিৎকারে অনেকে এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে। এসময় হারুন অর রশিদ সুযোগ পেলে আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমার হাতের অবস্থা খুবই খারাপের জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে অর্থপেডিক ডাক্তারের নিকট রেফার্ড করেন।এবিষয়ে আমি থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছি।
বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. আতিয়ার রহমান সাংবাদিককে জানান, সাংবাদিক মিঠু হাসান একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এবিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।