পাঁচ বছর পর রোববার রাজশাহী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রাজশাহী। দীর্ঘদিন পর দলের সভানেত্রীর আগমন উপলক্ষে উজ্জীবীত সেখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাজশাহীজুড়ে উৎসবের আমেজ। ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে সেজেছে নগর।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রসা মাঠে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও ৩৭৬ কোটি টাকার আরও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন সরকার প্রধান। এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চল, কৃষি ও আইটি বিশ্ববিদ্যালয় চায় রাজশাহীবাসী।
রাজশাহীর সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা বলেন, ‘‘না চাইতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চলটা আমরা চাই; এছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চাই। আরেকটা জিনিস চাই, সেটা হল হাটিকুমরুল থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক।’’
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছিল রাজশাহীবাসী। তা তিনি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজশাহী শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত। এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালও রয়েছে। শিক্ষানগরী হিসেবে পুর্নাঙ্গ রুপ দিতে রাজশাহীতে এখন কৃষি ও আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই দাবি তুলতে চাই।
জনসভার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মাদ্রাসা মাঠ ছাড়াও তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
তিনি বলেন, ‘‘এলইডি টিভি দিয়েছি বিভিন্ন পয়েন্টে, প্রায় ১৩০টি মাইক দিয়েছি। সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর মোড় ও সিএন্ডবি মোড় থেকেও জনসভার ভাষণ শোনা ও এলইডিতে দেখা যাবে।’’
‘‘আমরা আশা করছি যদিও বা মাদ্রাসা মাঠে জনসভার স্থল কিন্তু পুরো রাজশাহীতেই সেদিন হবে জনসভা’’ বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘‘এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা শুনতে চান এ অঞ্চলের মানুষ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার কর্মসূচী ভিত্তিক ভাষণ দেবেন।’’
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলেন তা হয়ে গেছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছেন তরুণদের নিয়ে, সেটাও ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে। এই জনসভায় দেশের উন্নয়ণ তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও দেশবাসীকে এক গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিবেন প্রধানমন্ত্রী বলে আমরা আশা করছি।’’
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘‘জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষ এই জনসভায় অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি। বিভিন্ন রংগের পোষাক, ক্যাপে রঙ্গি হয়ে উঠবে পুরো মাঠ। রাজশাহীর জন্য যা করেছে তার জন্য জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
জনসভার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষানবিস সহকারি পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহন ও প্যারেড পরিদর্শন করবেন।