ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশেষ শর্ত দিয়েছে সৌদি আরব। এ নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সিএনএন জানায়, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরব তাদের নিরাপত্তা এবং বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা নিশ্চিত করার শর্ত দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হবে। কারণ এর ফলে যা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়তে পারে।
সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সব শর্ত মেনে নিলেও কংগ্রেসের কিছু সদস্য এটি মেনে নেবেন না। যারা বাইডেন প্রশাসনকে রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে আনতে চান তারা এর বিরোধিতা করবেন। এর পরও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য হবে।
কয়েক বছর ধরে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াই ইসরাইল এবং সৌদি আরব অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বাইডেন অর্থনীতি সম্পর্কে এক বক্তব্যে বলেছেন, ইসরাইল ও আরব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক যত ভালো হবে, সবার জন্য তত ভালো।
অন্যদিকে ইতোমধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে মরক্কো, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক চুক্তি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে পারমাণবিক সহায়তার শর্তে ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরব সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছে বলে ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অস্বীকার করেছেন মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরভী।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের সঙ্গে আঞ্চলিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কূটনৈতিক নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।’
এ বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ওয়াশিংটনের ইসরাইলি দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালের আলোচিত সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পারমাণবিক সহায়তার শর্তে সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে মধ্যস্থতা করছে ওয়াশিংটন। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে বাইডেন ও নেতানিয়াহু চাচ্ছে সৌদি আরব ও ইসরাইলের সম্পর্ক দৃশ্যমান হোক।