রাজশাহীর বাগমারায় আম গাছের পাতা কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শফির উদ্দীন (৫৫), রেজাউল করিম (৩০), আব্দুর রহিম (৫০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশরাফুল ইসলাম (৩০) কে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড় বিহানালী ইউনিয়নের হরিনমারা গ্রামে। সংঘর্ষের পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে হরিনমারা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মাতা জাহিদা বেগম প্রতিবেশী শফির উদ্দীনের আম গাছ থেকে ছাগলের জন্য পাতা কাটতে শুরু করেন। এ সময় শফির উদ্দীনের পরিবারের সদস্যরা আম গাছের পাতা কাটতে দেখতে পান এবং পাকা না কাটার জন্য বাঁধা দেন। জাহিদা বেগম তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক পাতা কাটা শুরু করেন। পাতা কাটার বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে তর্ক বিতর্ক থেকে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে নারীসসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত শফির উদ্দীন জানান, আশরাফুল ও আফজাল হোসেন তাদের বাড়ির লোকজন দিয়ে প্রতি দিন ছাগলের জন্য তাদের আম গাছসহ বিভিন্ন গাছের পাতা কেটে নিয়ে যায়। পাতা কাটার কথা বললেই তারা গায়ের জোর দেখিয়ে আমাদের পরিবারের লোকজনকে মারতে আসে। শুক্রবারেও তারা এমন ধরনের ঘটনা ঘটাতে লাগলে সংঘর্ষে বেঁধে যায়। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে লাটিসোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারাক্ত জখম করেছেন। সুস্থ্য হয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত ) তৌহিদুর রহমান বলেন, তিনি বিশেষ কাজে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। থানায় ফিরে তিনি বিস্তারিত জেনে জানাবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।