প্রবাসী আয়ের পর এবার রপ্তানি আয়ও কমেছে। সদ্য সমাপ্ত মাসে (মে) ৩৮৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ. যা ২০২১-২২ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) গত আগস্টের পর এক মাসে এটিই সর্বনিম্ন রপ্তানি আয়।
টানা ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এসেছে গত মাসে। তবে আয় কমলেও গত মাসের রপ্তানি আয়ে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।
এদিকে মে মাসে রপ্তানি কম হলেও দেশের পণ্য রপ্তানির ইতিহাসে চলতি অর্থবছর রেকর্ড হতে যাচ্ছে। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি হবে চলতি অর্থবছরের শেষে। ইতোমধ্যে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পণ্য রপ্তানি ৫ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাবে।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৫৩ কোটি ডলার। করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানি কম হয় পরের দুই বছর।
এদিকে পণ্য রপ্তানিতে বরাবরের মতো শীর্ষস্থানে রয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত এবং প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিও ভালো হচ্ছে।