চট্টগ্রামের সীমা গ্রুপের পরিচালককে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে আদালতে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে শোকজসহ সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তার নাম অরুণ কান্তি বিশ্বাস। তিনি শিল্প পুলিশে এসআই হিসেবে কর্মরত।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের এসপি মো. সোলায়মান রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে আদালতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক এসআইকে শোকজসহ ক্লোজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমা গ্রুপের পরিচালকের কোমরে রশি বাঁধা ছবিটি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। এরপর তিনি শিল্প পুলিশের এসপিকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবিতে প্রকাশ হওয়া ছবিতে দেখা যায়, হ্যান্ডকাপ পরানো থাকা সত্ত্বেও এসআই অরুণ কান্তি বিশ্বাস কোমরে রশি বেঁধে ওই শিল্পপতিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ী ইউনিয়নের কদমরসুল সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সাতজন নিহত ও অর্ধশত জন আহত হয়।
গত ৬ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
নিহত এক শ্রমিকের স্ত্রী বাদী হয়ে সীমা অক্সিজেন প্লান্টের তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উদ্দিন, পারভেজ উদ্দিন সান্টু ও আশরাফ উদ্দিন বাপ্পিসহ ১৬ জনকে আসামি করেন।
এ ছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক ভবন মালিকও অক্সিজেন কারখানার তিন মালিককে আসামি করে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেন।