কূটনীতিকপাড়ায় ভোটের আলাপ জোরালো হচ্ছে


, আপডেট করা হয়েছে : 23-03-2023

কূটনীতিকপাড়ায় ভোটের আলাপ জোরালো হচ্ছে

দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সবার আগ্রহে পরিণত হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে কর্মসূচি জোরদার করছে বিরোধী দলগুলো। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় আগামী নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হবে বলে ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে ক্ষমতাসীন দল। অন্যদিকে ভোটের আলাপ জোরালো হচ্ছে কূটনীতিক পাড়ায়ও। রাজপথের কর্মসূচির পাশাপাশি বিরোধী দলগুলো কূটনীতিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ক্ষমতাসীন দলেরও প্রতিনিধিরাও।

এ ছাড়া প্রকাশ্যে বিভিন্ন ফোরামে নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকরা। আগামী সংসদ নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের দেশের আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন। একইভাবে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও কূটনীতিকদের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বৈঠক করছেন। প্রতিটি বৈঠকের অধিকাংশ সময়জুড়ে আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে, কোন দলের কৌশল কী হবে, কী ন্যূনতম পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন কূটনীতিকরা। তারা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সরকারের যে অঙ্গীকার রয়েছে তার পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চান।

কোন ফর্মুলায় এটি বাস্তবায়ন হবে তা জানতে এরই মধ্যে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন একাধিক পশ্চিমা কূটনীতিক। নির্বাচনে শুধু পর্যবেক্ষক পাঠানো নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখন থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ করছেন, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কূটনীতিক বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে জানা গেছে।

এদিকে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল পেজ থেকে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ খবর নিশ্চিত করে লিখেছে, রাষ্ট্রদূত হাস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বাণিজ্য থেকে শুরু করে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজের পরিধি নিয়ে আলোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পোস্ট করা ছবি থেকে দেখা যায়, প্রতিনিধি দলে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ. আরাফাতও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত ভুলে যেতে হবে। আজকে পিটার হাসকে বলে এসেছি, এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না। তবে বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য আমাদের সময়কে জানান, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। সেখানে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য যেসব পরিবেশ তৈরি করা দরকার, তা করার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই নির্বাচন কমিশন আইন করা হয়েছে। এই নির্বাচনের অধীনে যেসব নির্বাচন হয়েছে তার একটিরও কোনো অভিযোগ নেই। আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার ক্ষেত্রে এই নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট পারঙ্গম বলেও মত দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

সম্প্রতি আওয়ামী সরকারকে দেওয়া আমেরিকার বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে পিটার হাস বলেন, এটা ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো। এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।

বৈঠকে জামায়াতকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে। তখন আওয়ামী লীগ থেকে বলা হয়, আমেরিকা কী চায় জামায়াতের মতো উগ্র সাম্প্রদায়িক দল যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে তারা রাজনীতি করুক? এ সময় পিটার হাস এ বিষয়ে মন্তব্য না করে ফের ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো বিবৃতির প্রসঙ্গ টানেন। পুরো সময়জুড়ে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাসায় খোলামেলা আলোচনা হয়। প্রশ্ন-উত্তর ও পাল্টা প্রশ্নে প্রাণবন্ত কথাবার্তা হয় বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত। দেশগুলো হচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডস। জানা যায়, রাষ্ট্রদূতরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং এনজিওর নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকের ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ১২টি বিষয়ভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে মানবাধিকারের সব বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত ২০ মার্চ ঢাকায় নরডিক ডে রিসিপশনে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ দেখতে চায়, যে জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মতামত প্রতিফলিত হবে।

এদিকে গত ১৬ মার্চ ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার আমন্ত্রণে গত রাতে তার বারিধারার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৬ নেতা। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন একজন ডেপুটি হাইকমিশনার এবং দুজন ফার্স্ট সেক্রেটারি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নৈশভোজে যাওয়া অন্য নেতারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম। জানা গেছে, নৈশভোজের পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নেতারা তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানিয়েছে বিএনপি। কীভাবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার বিস্তারিত জানিয়ে দলটির নেতারা হাইকমিশনারকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তাদের আন্দোলনে জনগণের সমর্থন রয়েছে। এ আন্দোলন ধীরে ধীরে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির নেতারা বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের সেই নির্বাচন বয়কট করেছে। নেতারা বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা সংলাপে বসেছিলাম। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন কোনো মামলা-হামলা হবে না। কিন্তু সংলাপের পরদিন থেকেই মামলা-হামলা শুরু হয়। আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠেই নামতে দেওয়া হয়নি। শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে অনেককে। সিনিয়র নেতারাও আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি। আর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলেছে। গত বুধবার সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের আক্রমণাত্মক ঘটনাও তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, সেখানেও ভোট কারচুপি করা হয়েছে। সভাপতি প্রার্থীসহ আইনজীবীদের মারধর করা হয়েছে। আবার মামলার আসামিও করা হয়েছে। অতএব, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার সুযোগ নেই। এ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশ ভারতেরও ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে মতপ্রকাশ করে বিএনপি।

ভারতীয় হাইকমিশনার নেতাদের কাছে বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় বিএনপি নেতারা জানান, আন্দোলন চলছে। তাদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মাঠে নেমেছে। ১০ বিভাগে সরকারের সব বাধা পেরিয়ে লাখ লাখ মানুষ তাদের সমাবেশে অংশ নিয়েছে। ঢাকায় দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫০০ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিশাল গণসমাবেশ হয়েছে। আন্দোলন কতদিন চলবে তাও জানতে চান হাইকমিশনার। জবাবে বিএনপির নেতারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এ সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি নেতারা জানান, এক-এগারোর সরকারের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারাগারে নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান হাইকমিশনার। জবাবে বিএনপির নেতারা বলেন, তিনি অসুস্থ। কখনো বাসায়, কখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা।

ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি কেন হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির নেতারা বলেছেন, বিএনপি সবসময়ই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। কিন্তু ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের সঙ্গে বিএনপিকে দায়ী করা হয়, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিএনপি সরকার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে পুলিশ তখন কীভাবে সেই চালান আটক করেছে। এখন অনুপ চেটিয়া যেসব বানোয়াট কথা বলছেন, তা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বলছেন। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের হাইকমিশনারকে বিএনপি নেতারা বলেন, চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আগের মতোই আছে। তবে বর্তমান সরকার তাদের (চীন) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

এদিকে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। গত ১২ মার্চ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নিজ দেশের এমন প্রত্যাশার কথা জানান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে খুব সুন্দর মতবিনিময় করেছি। সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়ার সহকারি সচিব (প্রথম) গ্রে কোওয়ান, সহকারী পরিচালক এলিস হেইনিঙ্গার ও হাইকমিশনের উপপ্রধান নার্ডিয়া সিম্পসন।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনারা প্রত্যাশা করছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক হবে। আমরা প্রিপারেশনের কথা জানিয়েছি। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরাও চাচ্ছি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক। সিইসি বলেন, উনারা জানতে চেয়েছেন আমরা দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করতে পারি কিনা। আমরা বলেছি, সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার বলে যাচ্ছি নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আগেও দলগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চিফ অব পলিটিক্যাল স্কট ব্রান্ডন এবং পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথুউ বে। সূত্র জানায়, দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়। বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনেও অভিন্ন ইস্যুতে দুটি দেশ একযোগে কাজ করবে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার